এতটাই নির্লজ্জ,‘কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা যে তারা অবশেষে বিক্রি হয়ে গেলেন…’, এভাবেই মুখ খুললেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সমীর আইচ

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : শহর কলকাতার বুদ্ধিজীবী মহল। যাঁদের আমরা নাগরিক সমাজের মুখ হিসেবে ধরে থাকি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে অন্যায়ের প্রতিবাদে কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের গর্জে ওঠার সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। সমাজের অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে অতীতে বার বার সরব হয়েছেন বাংলার বুদ্ধিজীবীরা। পথে নেমেছেন। প্রতিবাদ করেছেন। মিছিল করেছেন। কিন্তু সন্দেশখালির ঘটনা? সেখানেও তো মারাত্মক মারাত্মক অভিযোগ উঠে আসছে। এলাকার মহিলারা নিজেরা বেরিয়ে এসেছেন রাস্তায়। ভয় কাটিয়ে মুখ খুলছেন তাঁরা। জানাচ্ছেন, কী নির্মম অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের। মহিলারা সমবেতভাবে এই ধরনের মারাত্মক অভিযোগ তোলার পর বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেভাবে বুদ্ধিজীবীদের কোনও ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ দেখা গেল না সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে।

সন্দেশখালির ঘটনায় কেন এখনও ‘চুপ’ বুদ্ধিজীবী মহল? কেন এখনও রাস্তায় নেমে সেভাবে প্রতিবাদে মুখর হতে দেখা যাচ্ছে না তাঁদের? সন্দেশখালির ঘটনায় বুদ্ধিজীবীরা কী ভাবছেন? যোগাযোগ করা হয়েছিল বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সমীর আইচের সঙ্গে। সেই বাম আমলে, যখন মমতা বিরোধী নেত্রী ছিলেন, তখন থেকে বিভিন্ন সময়ে পথে নামতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সন্দেশখালির ঘটনায় কি তাঁরা পথে নামবেন না? প্রশ্ন শুনেই সমীরবাবু বললেন, ‘শুধু পথে নামা নয়, এর জন্য অনেক কিছু করা দরকার। কিন্তু আমি আফশোসের সঙ্গে বলছি, কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা এতটাই নির্লজ্জ হয়ে গেলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থে বিক্রি হয়ে গেলেন শাসক দলের কাছে… তা আমাদের আন্দোলনের ধারাকে অনেকটাই নষ্ট করে দিয়েছে। আমাদের যে টিমটা আগে রাস্তায় নামতাম, সেই টিমটাকে পুরো ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে শাসক দল। সেই সুযোগ নিয়েছে আমাদের কিছু কিছু ব্যক্তি।’

এদিকে সন্দেশখালির ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সমীর আইচ সরাসরি সমালোচনা করেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও । তাঁর কথায়, ‘সন্দেশখালিতে যা হচ্ছে, তা কোনো ভাবেই ভাবা যায় না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার একটাই প্রশ্ন, পুলিশ প্রশাসন কাদের টাকায় চলে? এটা কি দলের টাকায় চলে? নাকি কারও ব্যক্তিগত টাকায় চলে? আপনার দলের যারা কুকর্ম করে বেড়াচ্ছে, তাদের বাঁচানোর দায়িত্ব কি পুলিশের? আর যাঁরা সত্যি সত্যি পীড়িত হচ্ছেন, তাঁরা মুখ খুললেই ধরে ধরে জেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। এটা কতদিন চলবে? এই পরিবর্তন আমরা কেউ চাইনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *