এবারে অনা বৃষ্টির জেরে ব্যাপক খরার মুখে হুগলী জেলার ধান চাষিরা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

সুমন কারাতি, হুগলী : এবারে অনা বৃষ্টির জেরে ব্যাপক খরার মুখে হুগলী জেলার ধান চাষিরা।ঘন কালো মেঘের আনা গোনা হলেও সেভাবে বৃষ্টি নাই,কখনও বা দিনের শেষে মোন ভোলানো দু-এক ফোঁটা বৃষ্টি। শ্রাবন মাসেও একপ্রকার নদী নালা শুকিয়ে কাঠ।একপ্রকার বৃষ্টির অভাবে এবারে ধান চাষিরা জলের অভাবে ধান চাষ শুরুই করতে পারলো না।প্রবল রৌদ্দুরে জমিতে বীজ ধান শুকিয়ে যাচ্ছে।যেটা আশাঢ় মাসের শেষের দিকে এলাকায় জমি কাদা মাটি করে জমিতে জল ধরিয়ে বিজ ধান বপন শেষ করা হয়।এখানে শ্রাবন মাসের মাঝামাঝি এসে গেলেও হুগলীর তারকেশ্বর,ধনেখালী,পুরশুড়া,আরামবাগের বিস্তৃত মাঠে চাষিরা এবারের আমন ধান চাষ করতে পারছে না বলে জানা গেছে।জলের অভাবে এবারের সামন্য পাট জলে ফেলে রেখে পদ্ধতিগতভাবে পচিয়ে কাচা যাচ্ছে না।পাট জমিতে শুকিয়ে নষ্ঠ হচ্ছে।ধান চাষাবাদের সময় বয়ে যাওয়ায় বীজ ধানের বয়সও বারছে। ধান চাষের খেত্রে হুগলী ও আরামবাগ এলাকায় বেশির ভাগ কৃষি জমিই মুলতো আকাশের জলের উপর নির্ভর করে চাষাবাদ হয়ে থাকে।বর্ষার সময় নদী নালা ভরে থাকে সেচ ব্যবস্থা করেও চাষ হতো।এবারে বৃষ্টি না হওয়ায় নদীতেও জল নাই।রিভার পাম্প অর্থাৎ সরকারী PHE স্টেশন গুলিও নদী থেকে বিভিন্ন খালে জল দিতে অসমর্থ।বর্তমান শাসকদলের উপর খোভ চাষি মহলের।অনেকের মন্তব্য প্রতিটি ব্লক প্রশাসন এই বিষয়ে অনেক আগে চাষিদের জলসঙ্কট বিষয়ে ভাবলে হয়তো কিছু সরাহা হতো। ইতিমধ্যেই এলাকার চাষিরা আরামবাগকে সরকারীভাবে খরা কবলিত বলে ঘোষনা করার কথা জানাচ্ছেন।এলাকার চাষীরা বলছেন এখন পর্যন্ত আরামবাগ মহকুমার মাত্র ৩০% জমিতে রোয়া (ধান বপন)সম্ভব হয়েছে।এমন জল সঙ্কট ৫০ বছরে আগে কখনও হয়েছে কিনা তা অজানা।যে কোন চাষের খেত্রে তার অনুকুল পরিস্থিতি যদি নষ্ট হয় সে চাষ আর সম্ভব নয় এতে জনজীবনে বিরাট প্রভাব পরে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *