এবার থেকে শেষ হতে চলেছে টোল প্লাজায় দাঁড়ানোর দিন, হাইওয়েতে পক্ষীরাজ ঘোড়ার মতো গাড়ি ছুটবে GPS-এর জাদুতে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ২০১৮-১৯ সালের কথা মনে আছে? সেই সময় পর্যন্ত টোল প্লাজাগুলি ছিল বিরক্তির কারণ। গড়ে অন্তত ৮ মিনিট অপেক্ষা করতে হত। ২০২১ সালে হাইওয়েতে টোল দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত যানবাহনের জন্য ফাস্টট্যাগ বাধ্যতামূলক করেছিল সরকার। এর ফলে ২০২০-২১ থেকে টোল প্লাজায় যানবাহনগুলির অপেক্ষা করার গড় সময় ৪৭ সেকেন্ডে নেমে এসেছে। এবার, এই ৪৭ সেকেন্ডের অপেক্ষারও অবসান ঘটাতে উদ্যোগী মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় সড়ক, পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী, নিতিন গড়করি জানিয়েছেন, শিগগিরই ভারতের সমস্ত টোল প্লাজাগুলির ভোল বদল করা হবে। জিপিএস-ভিত্তিক (GPS) টোল সংগ্রহের সিস্টেম বসানো হবে টোল প্লাজাগুলিতে। এর ফলে, টোল প্লাজায় আর কোনও গাড়িকে দাঁড়াতেই হবে না। হাইওয়ে ধরে আরও মসৃণ হবে যাতায়াত।

নিতিন গড়করি জানিয়েছেন, চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথম দিকেই এই রূপান্তর ঘটবে। ইতিমধ্য়েই মহাসড়কগুলিতে জিপিএস-ভিত্তিক টোল সংগ্রহ ব্যবস্থা বসানোর জন্য একজন উপদেষ্টা নিয়োগ করেছে সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আপাতত ফাস্টট্যাগ ব্যবস্থার পাশাপাশিই পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই ব্যবস্খা চালু করা হবে। যানজট কমাতে এবং মহাসড়কে সঠিক দূরত্বের জন্য গাড়ি চালকদের সঠিক টোল সংগ্রহের লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করতে চলেছে সরকার, এমনটা্ই জানিয়েছেন নিতিন গড়করি। এর ফলে, টোল ফাঁকির পরিমাণও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমবে বলে আশা করছে সরকার। গড়করি জানিয়েছেন, টোল থেকে জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের আয় বর্তমানে ৪০,০০০ কোটি টাকা। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে এই আয় ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এখন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে কাজ করবে এই জিপিএস-ভিত্তিক টোল ব্যবস্থা : এর জন্য হাইওয়েগুলিতে বিশেষ ক্যামেরা লাগানো হবে। এই ক্যামেরায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে নম্বর প্লেট চেনার একটি ব্যবস্থা বা এএনপিআর থাকবে। যার মাধ্যমে কোনও যানবাহন ঠিক কতটা দূরত্ব ভ্রমণ করেছে, তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যাবে এবং তার ভিত্তিতে টোল কাটা হবে। গাড়ি চালানোর সময় আপনার গাড়ির গতিবিধির উপর নজর রাখবে ব্যবস্থাটি। কোন টোল প্লাজা দিয়ে গাড়িটি মহাসড়কে প্রবেশ করেছে এবং কোন টোল প্লাজা দিয়ে প্রস্থান করেছে, তা চিহ্নিত করবে। এরপর গাড়িটি কত দূর ভ্রমণ করেছে, তা বিশ্লেষণ করবে। ভ্রমণের পথে, গাড়িটি কতগুলি টোল প্লাজাগুলি অতিক্রম করেছে, তাও চিহ্নিত করা হবে। এরপর, এই বিশ্লেষণ করা তথ্যের ভিত্তি সঠিক টোল কেটে নেওয়া হবে। ফলে, চলার পথে পকেটে নগদ আছে কিনা, বা, ফাস্টট্যাগ অ্যাকাউন্টে টাকা আছে কিনা, এই নিয়ে উদ্বেগে থাকতে হবে না চালকদের। নিরাপদ ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে, লিঙ্ক করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল ফি কেটে নেওয়া হবে। ফলে, টোল ফাঁকি দেওয়ার কোনও সম্ভাবনাই আর থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *