এবার দুর্নীতির অভিযোগ স্কুলের পাঁচিল তৈরিতেও, অভিভাবকদের চোখ কপালে দেওয়াল ভাঙা মাত্রই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : স্কুলের সীমানা পাঁচিল তৈরির ক্ষেত্রেও এবার বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ। ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার রাইপুরে। স্কুলের নির্মীয়মাণ সীমানা পাঁচিল তৈরির মাঝেই তাতে ফাটল দেখা দেওয়ায় সন্দেহ হয় এলাকার মানুষের। অভিযোগ পেতেই পাঁচিল ভাঙার কাজ শুরু হয়। এতেই বেরিয়ে এল আসল ঘটনা। অভিযোগ, পাঁচিল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়নি কোনও রড। আর এরপরই নির্মীয়মাণ ওই পাঁচিল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল ব্লক প্রশাসন। ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি সহ তৃণমূলের একাংশ অভিযোগের আঙুল তুলেছে প্রশাসনিক আধিকারিক ও তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির একাংশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল পরিচালিত রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীরা।
বাঁকুড়ার রাইপুরের কৃষ্ণমোহিনী সরখেল স্মৃতি বিদ্যাপীঠের সীমানা পাঁচিল তৈরির দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সম্প্রতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় ওই স্কুলের সীমানা পাঁচিল তৈরির জন্য ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করে তৃণমূল পরিচালিত রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতি। টেন্ডার করে কাজের বরাত দেওয়া হয় একটি ঠিকাদার সংস্থাকে। মার্চের শেষের দিকে নির্মাণ কাজ শুরুও হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নির্মাণকাজ চলাকালীন নির্মীয়মাণ সীমানা পাঁচিলের গায়ে ফাটল দেখে সন্দেহ হয় । পাঁচিলের একাংশ ভেঙে তাঁরা দেখেন এস্টিমেটে পাঁচিলের টাই বিম তৈরির ক্ষেত্রে রড ব্যবহারের নির্দেশ থাকলেও তা ব্যবহার করেনি বরাত প্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা। আর সে কারণেই তৈরি হতেই ফাটল দেখা দিচ্ছে ওই পাঁচিলে।
যে কোনও সময় পাঁচিল ধসে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। এরপরই স্কুলের তরফে বিষয়টি স্থানীয় বিডিওকে জানানো হয়। বিডিও সরেজমিনে পাঁচিলটি দেখে দ্রুত তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। বিডিও-র নির্দেশেই বুল ডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নির্মীয়মাণ ওই পাঁচিল।