এবার রাজ্যপাল নজিরবিহীন নিশানা করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পঞ্চায়েত ভোটে ক্রমাগত হিংসা, হত্যা দেখেছে বাংলা। কমিশনারকে সতর্কও করেছেন এমনকি রাজ্যপাল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। অবশেষে সরব হলেন সিভি আনন্দ বোস। কাল বাদ পরশু রাজ্যে ভোট। তার আগে বাংলার সাংবিধানিক প্রধান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার নিন্দায় মুখর হলেন বেনজিরভাবে । গণতন্ত্রের উৎসব পরিচালনায় কমিশনার কতটা ব্যর্থ তা বোঝাতে রাজ্যপাল এদিন কখনও মহাভারত, কখনও শেক্সপিয়ার, আবার কখনও টি এন সেশন, স্বামী বিবেকানন্দের কথা বলেছেন নিজের ভাষণে ।
ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল? ‘আমি ভেবেছিলাম, বাংলার গ্রামে গঞ্চে গিয়ে দেখব, চিত্ত হেথায় ভয় শূন্য, উচ্চ হেথায় শির। কিন্তু এসে দেখলাম একেবারে উল্টোটা। মানুষের মনে ভয়, মাথা হেঁট হয়ে আছে। গ্রামে গিয়ে বিধবার কান্না শুনেছি, পুত্রহারা মায়ের কান্না দেখেছি। কী করে এসব বন্ধ হবে, যখন রক্তাসুরের হাতেই সব ক্ষমতা। তবে মনে রাখতে হবে, রক্তাসুর থাকলে মহাকালীও থাকবে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘শয়তান উঠে এসেছে নরক থেকে, তারা নৃত্য করছে, ভয় দেখাচ্ছে ক্যানিং, ভাঙড়, বাসন্তী, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদের মানুষকে । শয়তানরা এখন সব এখানেই।’
কমিশনারকে তাঁর আরও কটাক্ষ যে, ‘আমি আপনাকে নিয়োগ করেছি, আর আপনি আমাকে হতাশ করেছেন। আপনি কর্তব্য পালনে ফেল করেছেন। রাস্তায় যে শবদেহ পড়ে আছে তার জন্য আপনিই দায়ী। আপনি কি অশ্বথামা হতে চান? যে কিনা পাণ্ডবদের ছেলেমেয়েকে যে কুচিয়ে কেটেছিল রাতের অন্ধকারে চোরের মতো ঢুকে, নাকি আপনি জুজুৎসু হবেন, যিনি অর্ধমকে ছেড়ে এসেছিলেন।’ শেষে কমিশনের উদ্দেশে রাজ্যপালের ৮ দফা পরামর্শে আগ্রাধিকার পেয়েছে, ভোটে আধাসামরিক বাহিনীর যথাযথ মোতায়েন, রুট মার্চ, স্ট্রং রুম পাহারা দেওয়ার বিষয়গুলি।
এদিন রাজ্যপালের বেনজির আক্রমণ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন ‘গোটা রাজ্যে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন হচ্ছে। সেখানে এত প্রলাপের কোনও অর্থ হয় না মাত্র ৭-৮টা বুথের ঘটনা নিয়ে। রাজ্যপাল রাজনীতি করছেন বিজেপির হয়ে। মানুষ ভোটে এর জবাব দেবে।’