কয়েকগুণ বড় টাইটানিকের থেকেও ,এই প্রমোদতরী সমুদ্রে ভাসবে গোটা শহর সঙ্গে নিয়ে!

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সীমাহীন নীলের মাঝে মায়া নগরী। এবার সাগরের বুকে ভাসবে বিশাল শহর। পরতে পরতে একাধিক চমক। যার বিলাসিতার ঝলক চোখ ধাঁধিয়ে দেবে। এখানে কি নেই? বিনোদনের অভিনব এক জগৎ হতে চলেছে বিশ্বের সবথেকে বড় ক্রুজ জাহাজ। টাইটানিকের থেকেও কয়েকগুণ বড়। সাঁতার কাটতে কাটতে পাবেন সুরা পানের সুযোগ। পাশাপাশি থাকবে কৃত্রিম বীচ সহ থিম পার্ক। সাগরের বুকেই ভাসবে একাধিক ফুটবল মাঠ। একদিকে পাবেন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, অপরদিকে মজা উপভোগের ৪০ রকম ব্যবস্থা। কবে পাড়ি দেবে এই জাহাজ? কেন এত বিশেষ? খরচ কত পড়বে?

বলা হচ্ছে, রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের আইকন অফ দা সিজের কথা। এই অসাধারণ জাহাজটি ২০২৪ সালের ২৭এ জানুয়ারি আমেরিকার ফ্লোরিডার মায়ামি থেকে যাত্রা শুরু করবে। যাবে পূর্ব এবং পশ্চিম ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে। গোটা বিশ্বজুড়ে সবার মুখে মুখে এখন আইকন অফ সিজের কথা।বিশ্বজুড়ে আগ্রহের শেষ নেই। ইতিমধ্যেই প্রথম সফরের সব টিকিট শেষ। হাজার হাজার মানুষ এই জাহাজের জন্য অপেক্ষা করছেন।

দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০০ ফুট। ওজন প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টন। যেখানে টাইটানিকের দৈর্ঘ্য ৮৮২ ফুট। বুঝতেই পারছেন, এটি টাইটানিকের থেকে ঠিক কতটা বড়। এটি তৈরি করতে খরচ করেছে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার। আইকন অফ দ্য সিজ একসঙ্গে ৭৯৬০ জন যাত্রীকে নিয়ে যেতে পারবে। যার মধ্যে যাত্রী সংখ্যা থাকবে ৫৬১০ জন, আর জাহাজের কাজ পরিচালনা করার জন্য থাকবেন ২৩৫০ জন কর্মী। এর মধ্যে ইঞ্জিন, প্রযুক্তি এবং কম্পন পরীক্ষার জন্য রয়েছে প্রায় ৪৫০ জন বিশেষজ্ঞ।

এই জাহাজকে একটা আস্ত শহর কেন বলা হচ্ছে? আসলে জাহাজের ভিতরে পার্কসহ রয়েছে এক্কেবারে আসল গাছ। অ্যাকুয়া থিয়েটারেরও ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষ করে কম বয়সী পরিবারদের জন্য রয়েছে স্পেশাল ব্যবস্থা। ছয়টি ওয়াটার স্লাইড, সাতটি সুইমিং পুল আর সহ নটি বিশেষ ধরনের পুল, যার মধ্যে ঘূর্ণাবর্তের ব্যবস্থা রয়েছে। বিনোদনের জন্য পাবেন ৪০ রকমের অপশন। কেবিন থাকবে প্রায় ২৮ ধরনের। অধিকাংশ কেবিনে তিন থেকে বা তার বেশি সংখ্যক মানুষ থাকতে পারবেন। ৭০ শতাংশ কেবিনে পাবেন সুন্দর ব্যালকনি। যেখান দাঁড়িয়ে সমুদ্রের সীমাহীন নীল সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। বুঝতেই পারছেন, এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা পেতে চলেছেন যাত্রীরা। যদিও এই প্রমোদতরীতে যাত্রার জন্য ঠিক কত টাকা খরচ হবে সেই বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।

প্রস্তুতি পর্ব এখন শেষের দিকে। ২০২৩ এর শেষে আর একবার পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা করবে এই জাহাজটি। তারপর মিলবে চূড়ান্ত সফরের ছাড়পত্র। ২০২২ সালে এটি তৈরি কাজ শুরু হয়। এত তাড়াতাড়ি যে কাজ শেষ হবে তা ভাবনার বাইরে ছিল। আপাতত এটি রয়েছে ফিনল্যান্ডের একটি জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রে। রয়্যাল ক্যারিবিয়ান সংস্থার সবথেকে বড় জাহাজ ওয়ান্ডার অফ দ্য সিজের থেকেও প্রায় ছয় শতাংশ বড় আইকন অফ দ্য সিজ। আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। এক টুকরো মায়া নগরী নিয়ে সমুদ্রের নীলে পাড়ি দেবে আইকন অফ দ্য সিজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *