এবার রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা মুর্শিদাবাদে, ‘গণতন্ত্র বাঁচাতে এক হয়েছি’ রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে মন্তব্য বাম নেতা সেলিমের
বাংলায় ঢুকেছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। কোচবিহার হয়ে এই ন্যায় যাত্রা বৃহস্পতিবার পৌঁছেছে কংগ্রেসের গড় মুর্শিদাবাদে। বুধবার বাংলা-বিহার সীমান্তের কাছে রাহুলের যাত্রা যখন পৌঁছয়, সেই সময় তাঁর গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। গাড়ির পিছনের কাচ ভেঙে যায়। যদিও, বিষয়টিকে হামলা বলতে নারাজ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।
এদিকে জয়রাম রমেশ বলেছেন, “ইন্ডিয়া জোটের সব বৈঠকে সব সময়ই বামপন্থীরা ছিলেন। ২৭ পার্টির তালিকায় বামেরা ছিল।” জয়রাম রমেশ আরোও বলেছেন,”মোদী-অমিত শাহ উৎপীড়নের রাজনীতি করছেন। প্রতিশোধের রাজনীতি করছেন।বিপক্ষের একতা ভাঙতে পার্টিগুলিকে কালিমালিপ্ত করছেন। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকে আটকাতে এ সব করেছেন।” তিনি ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে এও বলেন “আমরা বিহারে প্রবেশ করার আগে নীতিশকে পাল্টি খাওয়াল। এবার আমরা ঝাড়খণ্ডে ঢুকব তার আগে হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হলেন।”
এদিন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ আজ আবারও ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেন , “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বারে-বারে বলেছেন উনি ইন্ডিয়া জোটে রয়েছেন। কংগ্রেস তাকে স্বাগত জানায়। কংগ্রেস এবং তৃণমূল একসঙ্গেই রয়েছে।” এদিকে রাহুল গান্ধী রঘুনাথগঞ্জ এসে পৌঁছলে কংগ্রেস সমর্থকদের সঙ্গেই বাম কর্মীরা ন্যায় যাত্রায় যোগ দিলেন লাল ঝান্ডা হাতে নিয়েই। এমনকি মহম্মদ সেলিম এদিন আরও বলেন, “২০২৪ গোটা দেশের জন্য একটা বড় সময়। কঠিন সংগ্রামের সময়। আজকে দাঁড়িয়ে সব থেকে বড় প্রশ্ন সংসদীয় গণতন্ত্র থাকবে কি না। আর এই গণতন্ত্রকে বাঁচাতেই আমরা একদিকে।”আর বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে আর এক দিকে।