এবার শুরু হল ‘চাষির দুয়ারে চাষি কথা’ কর্মসূচি, কৃষকদের পাশে থাকার বিশেষ বার্তা রাজ্য সরকারের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা তৃণমূল সরকারের। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এবার তৃণমূল নিয়ে এল নতুন কর্মসূচি। নাম ‘চাষির দুয়ারে চাষি কথা’। বুথে-বুথে পাড়ায় পাড়ায় এবার এই কর্মসূচি শুরু করল ঘাসফুল শিবির। তবে ভোটের আগে এই প্রকল্প চালু হওয়ায় রাজনীতি দেখছে বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূলের ন্যূনতম লজ্জা বোধটুকু নেই। খুব ভাগ্য ভাল যে এখনো ওরা চাষির দুয়ারে গিয়ে মার খায়নি।
হুগলির আরামবাগ মহকুমা কৃষি প্রধান এলাকা। ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে অকাল বৃষ্টিতে কৃষকের পাকা ধানে মই পড়েছে। কোথাও রাসায়নিক সারের কালোবাজারি, কোথাও ধান নষ্ট ! কোথাও জমিতে বসানো আলুর বীজ খারাপ। এই সব নিয়ে কার্যত মাথায় হাত কৃষকদের। বিরোধী দলগুলি শাসকদলের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে এইসব নিয়ে। আসন্ন ভোটের আগে কৃষকদের পক্ষ নিয়ে দুই বিরোধী দলই নেমে পড়েছে রাজনৈতিক ময়দানে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ও রাজনৈতিক কর্মসূচি বেড়েছে আরামবাগ মহকুমায়।
এবার তাই পাল্টা বুথে-বুথে ‘চাষির দুয়ারে চাষির কথা’ নিয়ে হাজির হচ্ছে তৃণমূল। মূলত আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের নেতৃত্ব রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলি প্রচার করছেন তাঁরা। এমনকী রাসায়নিক সারের কালোবাজারি জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারই দায়ী রাসায়নিক সারের কালোবাজারি, আলু বীজের কালোবাজারি সহ সরকারি কিষাণ মাণ্ডিতে ধান বিক্রি করতে গিয়েও কৃষককে কুইন্টাল প্রতি পাঁচ থেকে সাত কেজি ধান বাটা দিতে হচ্ছে। নিম্নচাপের অকালবৃষ্টিতে মাঠের পাকা ধানে মই দিয়েছে প্রকৃতি। নষ্ট হয়ে গেছে জমিতে বসানো আলুর বীজ। বিরোধী দলগুলি শাসকদলের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে এইসব নিয়ে। আসন্ন ভোটের আগে কৃষকদের পক্ষ নিয়ে দুই বিরোধী দলই নেমে পড়েছে রাজনৈতিক ময়দানে।
ইতিমধ্যেই আরামবাগের বেশ কয়েকটি এলাকায় পাড়ায় পাড়ায় এই কর্মসূচি রুপায়ন হয়েছে। মূলত, রাজ্য সরকারের জনমুখী বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরা হয়েছে। কৃষকরা কোনও অসুবিধায় পড়লে সে কথা শোনা হবে। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দীর নেতৃত্বে চলছে এই কর্মসূচি।
এই প্রসঙ্গে, আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তথা পুরশুরার বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “এদের ন্যূনতম লজ্জা বোধটুকু নেই। এই রাজ্যে কৃষকদের অবস্থা দুর্বিসহ করে তুলেছে এই সরকার। যারা রাসায়নিক সারের কালোবাজারি আটকাতে পারে না, কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে ধান দিতে পারে না। তারা খুবই বড়-বড় কথা বলছে। ভাগ্য ভাল মার খায়নি।”