এবার ED-র হানা খোদ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ২০ বছর পরও বদলা নিতে পারল না টিম ইণ্ডিয়া। বুক নেংড়ানো হার মন খারাপ করে দিয়েছে গোটা দেশের। ভারতের হার যেন হঠাৎ করেই শোকের দাবানল জ্বালিয়ে দিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। রবিবার ফাইনালে খেলতে নেমেছিল ভারত ফেভারিট তকমা লাগিয়ে। তবে দিনের শেষে সেই হতাশাই সঙ্গী টিম ইন্ডিয়ার।
শেষবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে। তারপর দশ-দশটা বছর কেটে গিয়েছে। আইসিসি ট্রফি জয় আর হয়নি। নেতৃত্বে কোহলি থেকে রোহিত শর্মা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে ভারত। তবে একদশকের ট্রফি ব্যর্থতা ঘোচেনি ভারত। এদিকে রোহিত শর্মারা টানা দশটা ম্যাচ জিতে খেলতে নেমেছিল ফাইনালে। আর ফাইনালেই ল অফ এভারেজের স্বীকার হয়ে গড়পড়তা ক্রিকেট উপহার দিল ভারত। তাতেই স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা চেপে বসছে। ট্র্যাভিস হেড একার হাতে খতম করে দিয়েছেন ভারতের বিশ্বজয়ী হওয়ার স্বপ্ন। স্লো পিচে ২৪০ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট খাড়া করেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি ভারত। প্ৰথম তিন উইকেট হারিয়ে অজিরা ধুঁকছিল।
তবে ট্র্যাভিস হেড-মার্নাস লাবুশেনে জুটি ভারতকে ছিটকে দেয় ম্যাচ থেকে। জয়ের জন্য যখন বাকি মাত্র ২ রান সেই সময়েই আউট হয়ে যান হেড। দুর্ধর্ষ শতরান করে। আর অস্ট্রেলিয়া উইনিং স্ট্রোক নেওয়ার পরেই ভারতীয় ক্রিকেটাররা আবেগে আক্রান্ত হন। বিশ্বকাপ জয়ের একদম শেষ প্রান্তে এসে এভাবে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা আর নিতে পারেননি রোহিত-বিরাটরা।
এদিকে চলতি বিশ্বকাপই হয়ত ভারতের দুই সুপারস্টারের শেষ বিশ্বকাপ। আর হয়ত বিশ্বকাপের আঙিনায় পা পড়বে না মহম্মদ শামিরও। ভারত হেরে যাওয়ার পরেই চোখে জল নেমে এল রোহিত শর্মার। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা নিয়ে খেলে এসেছেন। রবিবারও কঠিন পিচে ৩১ বলে ৪৭ করে ভারতকে বড় রানের পাটাতন এনে দিয়েছিলেন। যা কাজে লাগাতে পারেনি ব্যর্থ ভারতের মিডল অর্ডার। বিশ্বকাপের এক সংস্করণে সবথেকে বেশি রান করা ক্যাপ্টেনদের তালিকায় তিনি আপাতত শীর্ষে। মাঠ ছেড়ে বেরোনোর সময় কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি।
যদিও এই পরাজয়ের পর মোদী থেকে শাহরুখ সকলেই টিম ইন্ডিয়ার পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তবে এর মধ্যেই টিএমসি সাংসদ মহুয়া মিত্রের একটি ট্যুইট চূড়ান্ত ভাইরাল।
বারবারই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা। টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন উত্থাপনে এমনিতেই মোদীকে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। মহুয়া হুঙ্কারের সুরে বলেছেন তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন। মোদীর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ তুলেছেন কৃষ্ণনগরের টিএমসি সাংসদ। আদানি ইস্যুতে প্রশ্ন তোলায় তাকে টার্গেট করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এবার ক্রিকেটের সঙ্গে ইডি-সিবিআইকে মিলিয়ে মোদীকে নিশানা করেন তিনি।
তৃণমূল সাংসদ টিম ইন্ডিয়ার হারের পরবর্তীতেই তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে তৃণমূল সাংসদ লেখেন, ‘অহমেদাবাদের স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। ইন্ডিয়া আসলে বিশ্বকাপ হেরে গিয়েছে জওহরলাল নেহরু ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।’ এরপরই তাঁর সংযোজন, ‘ব্রেকিং নিউজ! অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ED হানা!’
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমালোচনা করেছেন বিএসপি সাংসদও : এদিকে, বিএসপি সাংসদ দানিশ আলি বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্টেডিয়ামে যাওয়ার কথা ঘোষণা করাটাই উচিত ছিল না, তিনি যোগ করেছেন যে এই ধরনের বড় অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকা উচিত প্রধানমন্ত্রীর। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘আমরা জয়ের দোরগোড়ায় ছিলাম। অসম্ভব মানসিক চাপের জন্য ভারত জয় ছিনিয়ে আনতে পারল না। এই ধরণের অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রীর দূরে থাকাই বাঞ্ছনীয়। বিজ্ঞানী এবং খেলোয়াড়দের সাফল্য আপনি ঘরে বসে টিভিতেই দেখুন, সেটাই মঙ্গলের।’