এ রাজ্যের শাসক শিবির মোদিকে হারানোর পরিকল্পনা কষছে পিকে-আইপ্যাকের জোড়াফলায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ১৯ শে হাফ, ২১ শে সাফ৷ ভারতীয় জনতা পার্টি এই স্লোগানই তুলেছিল ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ৷ ভোটের ফলও হয়েছিল এমনকি এই স্লোগানের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে৷ লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের আসন বঙ্গ-বিজেপি কার্যত অর্ধেক করে দিয়েছিল ২০১৪ -র নিরিখে৷ কিন্তু স্লোগানের শেষ অংশের কোনও মিল নেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলের সঙ্গে৷ বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি মুখ্যমন্ত্রিত্বের হ্যাটট্রিক৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আরও বলছেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাফল্যের পিছনে যতটা কৃতিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের রয়েছে ঠিক ততটাই কৃতিত্ব৷ ঘাসফুল শিবির বঙ্গে গেরুয়া হাওয়া থামিয়ে দিতে পেরেছে তাঁর বেঁধে দেওয়া পথে হেঁটেই৷
তাই প্রশ্ন উঠেছে যে এর পর কী হবে ? অটুট থাকবে কি তৃণমূলের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের এই ‘বন্ধন’ ? প্রশান্ত কিশোর, যিনি এখন পিকে নামেই বেশি পরিচিত, তিনি অবশ্য জানিয়ে রেখেছেন যে তিনি আর পালন করতে চান না ভোটকুশলীর দায়িত্ব৷ কিন্তু এর পরিবর্তে আগামিদিনে তাঁর ভূমিকা রাজনীতিতে ঠিক কী হবে, এখনও তিনি ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন তা নিয়েও৷ পিকের কিছু পদক্ষেপ এই পরিস্থিতিতে অবশ্য নানা জল্পনা তৈরি করেছে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়েও৷ জল্পনা চলছে তিনি এবার সরাসরি রাজনীতিতে যোগদান করতে চলেছেন বলেও৷ কিন্তু খবর মিলেছে তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক কিন্তু অটুট থাকছে বলেই৷ যদিও এই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানানো হয়নি ঘাসফুল শিবিরের তরফে৷
তৃণমূলের একটি সূত্র এদিকে জানাচ্ছে, জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে এ-বারের নির্বাচনের জয়৷ তাই এখন থেকেই দলনেত্রী লড়াই শুরু করতে চাইছেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর লক্ষ্যে৷ তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য যে মোদিকে হারানো, সেটাও মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নিতে চলেছে দ্বিমুখী কৌশল৷ দলেরই ওই সূত্র জানাচ্ছে, একদিকে প্রশান্ত কিশোর দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন ব্যক্তিগত ভাবে৷ তিনি তৃণমূলের বিস্তার কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করবেন জাতীয় স্তরে৷ নতুন প্রচার পরিকল্পনা করবেন মোদি বিরোধী দলগুলিকে একছাতার তলায় এনে৷ যারই একমাত্র উদাহরণ, শরদ পাওয়ারের সঙ্গে পিকের বৈঠক৷