‘কংগ্রেসই ভাবে একমাত্র গরিব-মধ্যবিত্তদের কথা’,গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে টুইট রাহুলের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ইতিমধ্যেই লাগামহীন ভাবে বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। একধাক্কায় ৫০ টাকা বেড়ে কলকাতায় সিলিন্ডারের দাম এমনকি হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। কলকাতায় সিলিন্ডারের দাম হয়েছে ১০২৬ টাকা। এবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ফের একবার কেন্দ্রকে নিশানা করলেন গ্যাসের এই লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে। টুইটে রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে রাহুল গান্ধী এও দাবি করেছে, কংগ্রেস আমলে দুটি সিলিন্ডার পাওয়া যেত হাজার টাকায়। এখন হাজার টাকা লেগে যাচ্ছে একটি সিলিন্ডারেই ।
টুইটে কংগ্রেস সাংসদ আরও লিখেছেন, শুধুমাত্র কংগ্রেসই চিন্তা করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত ভারতীয় পরিবারের কল্যাণের জন্য। এটাই মূল বিষয় আমাদের অর্থনীতির । কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা টুইটে এও লিখেছেন, রান্নার গ্যাসের দাম আড়াই গুণ বেড়েছে এবং এটা ক্রমশ নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের। গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্ক করছে না বা বিজেপি সরকারকে প্রশ্ন করছে না এমনকি একটি টিভি চ্যানেলও ! বিতর্ক চলছে মন্দির-মসজিদ নিয়ে!
উল্লেখ্য ,কেন্দ্র দীর্ঘদিন জ্বালানির দাম বাড়ায়নি উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে ভোট থাকায় । ভোটের ফল বেরনোর পড়ি বাড়ানো হয় পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম। পেট্রল-ডিজেলের দাম ১৩৭ দিনে প্রথম বার বেড়েছিল ২২ মার্চ। বর্ধিত দর জানানো হয়েছিল আগের দিন রাতেই। সেই থেকে জ্বালানির দাম ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সেদিনই রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকা বাড়ানো হয় একধাক্কায়।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও রুটি-রুজি হারিয়ে বহু মানুষ সংকটে গত দু’বছর ধরে। এরই মধ্যে আমজনতার কপালে গভীর চিন্তার ভাঁজ পেট্রল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে চলায় । যদিও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ বিজেপির শীর্ষনেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, কেন্দ্রের উচিত তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা। না হলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দেশের অর্থনীতির উপর।
এর আগে টুইটে মোদি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারকে ভারতের জনগণকে কষ্ট দেওয়া বন্ধ করতে হবে ! বারবার জ্বালানি, এলপিজি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করে আসলে একটি ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান লুট’ পরিচালনা করছে বিজেপি। মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে। আমি স্তম্ভিত মিডিয়ার নীরব অবস্থা দেখে।’