কেনাবেচা হয় OTP-ও! মুর্শিদাবাদ থেকে পাকিস্তান, সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে প্রতারণার এক বিরাট জাল
বেস্ট কলকাতা নিউজ : প্রতারণার চক্র যে কীভাবে সীমান্ত পার করে জাল বিস্তার করছে, তা রীতিমতো অবাক করে দেওয়ার মতো। মোবাইল হ্যার করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ সামনে এসেছে একাধিকবার। কিন্তু তাই বলে ওটিপি কেনাবেচা! এমনটাও হয়? সেই চক্রেরই এবার হদিশ পেল রাজ্য পুলিশের বিশেষ ফোর্স বেঙ্গল এসটিএফ। হোয়াটসঅ্যাপে ওটিপি বিক্রির অবৈধ চক্র চালানোর অভিযোগে মূল পাণ্ডাকে হিমাচল প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করল বেঙ্গল এসটিএফ। ওই চক্রের জাল পাকিস্তান এবং চিনে ছড়িয়ে থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও জানতে পারছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদে দায়ের হওয়া একটি অভিযোগ থেকেই এই চক্রের হদিশ মেলে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দু সপ্তাহ আগে, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওটিপি কেনাবেচার অভিযোগে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, নকল সিম কার্ড বানিয়ে ওটিপি তৈরি করা হয়, তারপর ওটিপি বিক্রি করে দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। মুর্শিদাবাদে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়।
ধৃতদের জেরা করার পর পুলিশ জানতে পারে তাদের সঙ্গে দেশের অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দাদেরও যোগাযোগ আছে। হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা গৌরব শর্মার নাম প্রকাশ্যে আসে। এরপরই হিমাচলে যায় এসটিএফ-এর একটি টিম। স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে তল্লাশি চালায় তারা। গ্রেফতার করা হয় গৌরবকে।
জানা যায়, ওটিপি কেনাবেচার আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে গৌরব শর্মার। জানা গিয়েছে, আইআরসিটিসি, সুইগি, জোম্যাটো- মতো সংস্থা থেকে ওটিপি সংগ্রহ করেন ওই ব্যক্তি। তারপর ফোন নম্বর সহ ওটিপি বিক্রি করে দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে। টাকার লেনদেন হয় ইউপিআই-এর মাধ্যমে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে পাকিস্তান ও চিনের লোকজনের লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। আপাতত তদন্ত চলছে।ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যে নিয়ে এসে বহরমপুর কোর্টে পেশ করা হবে তাঁকে।