কেন্দ্রের বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি ও বিক্ষোভে সামিল হল BSNL
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং ব্যাঙ্কের কর্মী ইউনিয়নগুলি পথে নামল সরকারি সম্পত্তি কর্পোরেট সংস্থাকে ব্যবহার করতে দেওয়ার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের (ন্যাশনাল মনিটাইজ়েশন পাইপলাইন) বিরোধিতায় । তালিকায় আছে এমনকি ২.৮৬ লক্ষ কিমির ভারত অপটিক ফাইবার এবং বিএসএনএল-এমটিএনএলের ১৪,৯১৭টি মোবাইল টাওয়ার-ও। এর বিরুদ্ধে শুক্রবার দেশ জুড়ে সংস্থার এমপ্লয়িজ় ইউনিয়ন বিক্ষোভ দেখায় বিএসএনএলের দফতরে। ব্যাঙ্ক অফিসারদের সংগঠন আইবকের অভিযোগ, এটা আসলে সরকারি সব কিছু বেসরকারিকরণেরই একটি ধাপ। এমনকি তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না-করলে বড় আন্দোলনের পথে যাওয়ারও।
মূলত, মোদী সরকার চার বছরে ৬ লক্ষ কোটি টাকা তুলতে চায় সড়ক, রেল, বিদ্যুত্, বিমানবন্দর, গ্যাস সরবরাহ, টেলিকম-সহ নানা ক্ষেত্রের অব্যবহৃত এবং কম ব্যবহৃত সরকারি সম্পত্তি বেসরকারি সংস্থাকে ব্যবহার করতে দিয়ে। এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এমনকি কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএমের মতো বিরোধী দল, এমনকি আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস-ও।
এ দিন বিএসএনএলের কর্মী সংগঠনের তোপ, এ ভাবে কেন্দ্র আমজনতার করের টাকায় তৈরি দ্রুত গতির নেট এবং মোবাইল পরিষেবার পরিকাঠামো কর্পোরেটের হাতে তুলে দিচ্ছে। পরে হয়তো তুলে দেবে বিএসএনএলের ৭ লক্ষ কিমি অপটিক ফাইবারও। এমনকি তারা তুলছে কর্পোরেটকে সম্পত্তি ব্যবহার করতে দেওয়ার কথা বলে বিএসএনএল-এমটিএনএলের বেসরকারিকরণের পরিকল্পনাও শুরু করে দেওয়া হল কি না, সেই প্রশ্নও। বৃহস্পতিবারই সংগঠনটি একটি বিবৃতিতে বলেছিল, ”মোবাইল টাওয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত পরিকল্পনার সূচনা মাত্র বিএসএনএলকে বেসরকারি হাতে দেওয়ার। মোদী সরকার ১ বছর ৮ মাস ধরে সংস্থার ৪জি পরিষেবা চালুর রাস্তায় কেন বাধা তৈরি করছে, তা স্পষ্ট।”
নির্মলার যুক্তি, তাঁরা সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করছেন না। শুধু আয় বাড়াচ্ছেন ব্যবহার করতে দিয়ে। মালিকানা থাকবে কেন্দ্রের হাতেই। তবে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ‘বন্ধু’ শিল্পপতিদের হাতে জাতীয় সম্পদ তুলে দিতে চাইছেন। আয় বাড়ানো জরুরিই হলেও সরকারি সম্পত্তি বেসরকারি সংস্থার হাতে যাবে কেন— প্রশ্ন আইবকের।