কোনো টাকা নেই’‘খরচ করার মতো, ‘কংগ্রেসের ভাঁড়ে মা ভবানী’র দশা লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে !
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মাস পেরলেই লোকসভা নির্বাচন । কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়েছে সবাই। কিন্তু প্রচার যে করবেন, তার টাকা কোথায়? কংগ্রেসের নাকি ভাঁড়ে মা ভবানী! অন্তত এমনটাই দাবি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের। বুধবারই তিনি জানান, দলে আর্থিক টানাটানি চলছে। সাধারণ মানুষ কংগ্রেসকে যে টাকা অনুদান দিয়েছে, সেই ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টই ‘ফ্রিজ’ করে দিয়েছে বিজেপি শাসিত এনডিএ সরকার। বিপুল অঙ্কের জরিমানা চাপিয়ে দিয়েছে এমনকি আয়কর দফতর।
বুধবার কংগ্রেস সভাপতি আরও জানান, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত করতে সকলকে একজোট হতে হবে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। তবেই দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করা যাবে। মোদী সরকারকে আক্রমণ করে খাড়্গে এও দাবি করেন, নির্বাচনে সকলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সমান সুযোগ থাকা উচিত, কিন্তু বিজেপি সরকার কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করে রেখেছে এবং আয়কর বিভাগের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জরিমানা চাপিয়ে দিয়েছে। এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যে তারা (বিজেপি) হাজার হাজার কোটি টাকা পেয়েছে, সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানাচ্ছে না।
খাড়্গে এও বলেন, “ওটা আমাদের টাকা, আপনারা যে অনুদান দিয়েছিলেন। কিন্তু ওরা (বিজেপি) সেই টাকা ফ্রিজ করে রেখেছে। এখন আমাদের কাছে খরচ করার মতো কোনো টাকা নেই। এদিকে ওরা নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কোনও রকম তথ্য প্রকাশ করছে না, কারণ ওই তথ্য প্রকাশ করলে তো সকলের সামনে ওদের চুরি, যাবতীয় কুকর্ম, দুস্কর্ম বেরিয়ে আসবে। সেই জন্য ওরা জুলাই অবধি সময় চাইছে।”
বিজেপিকে আক্রমণ করে কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, ওদের ফাঁদে পা দিয়ে “ঠকবেন না। ওরা (বিজেপি) সবাই প্রতারক, শুধু মিথ্যা কথা বলে। আসল সত্য লুকিয়ে রেখে ভুল তথ্য সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার করে সাধারণ মানুষকে ক্রমাগত বিভ্রান্ত করে । আম্বেদকর বলেছিলেন, গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করতে সাধারণ মানুষকে একজোট হতে হবে। যদি দেশে কোনও সংবিধান, স্বাধীনতা ও ঐক্য না থাকে, তবে এই দেশ আবারও চলে যাবে দাসত্বের অধীনে।” উল্লেখ্য , লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের দুই দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হলেও, তাতে দেখা যায়নি মল্লিকার্জুন খাড়্গের নাম। জল্পনা, এবার লোকসভা নির্বাচনে নাও দাঁড়াতে পারেন খাড়্গে। তাঁর পরিবর্তে জামাই রাধাকৃষ্ণ দোদামানি প্রার্থী হতে পারেন।