কোনো রকম জট কাটছে না রুফটপ ক্যাফে নিয়ে , ভবিষ্যত ঝুলে রইল পুর আইনের চরম জটিলতায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মেছুয়া বাজারে হোটেলের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরপরই কলকাতা কর্পোরেশনের তরফে নোটিশ পাঠিয়ে অভিযান চালানো হয় শহরের বেশকিছু রুফটপ রেস্তরাঁ ও পানশালায়। এরপরেই বন্ধ হয়ে যাওয়া রুফটপ রেস্তরাঁ মালিকপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় । আদালতের নির্দেশে ১৫ দিন আগে হয় শুনানি ৷
এদিকে তিনটি রুফটপ রেস্তরাঁ ও পানশালার মালিককে বলা হয় সমস্ত অনুমতি ও বক্তব্য লিখিত জমা দিতে। সেই সময়সীমা বুধবার শেষ হয়েছে ৷ এর মধ্যে দুই রেস্তরাঁর মালিক তথ্য জমা করলেও একটি রেস্তরাঁর মালিক কোনও তথ্য জমা করেনি। জমা পড়া নথি খতিয়ে দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ জানাচ্ছেন পুর কর্তারা। যার জেরে আপাতত ওই তিন রুফটপ ক্যাফে বন্ধই থাকছে। কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, পুর-আইন অনুসারে ছাদ ঘিরে কোনও ব্যবসার অনুমতি নেই । তবে শহরের বিভিন্ন রুফটপ রেস্তরাঁ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুমতি আদায় করে ফেললেও কর্পোরেশনের তরফে অনুমতি কেউ দেখাতে পারেনি । এই অবস্থায় লিখিত বক্তব্যে সংস্থার মালিকরা পুর কর্তৃপক্ষকে মানবিক হওয়ার আবেদন করেছেন ৷
তাঁদের দাবি, বহু মানুষের পেট চলে, সংসার নির্ভর করছে এই ক্যাফের উপর । বন্ধ করলে পথে বসবে। তাই গাইডলাইন বা এসওপি যা দেওয়ার সেসব দিয়েই ব্যবসা শুরুর নির্দেশ দেওয়া হোক । এদিন সময়ের মধ্যে ১২ -এ ক্যামক স্ট্রিট, লালা লাজপথ রায় এই দুই ঠিকানায় অবস্থিত রেস্তরাঁ তাদের বক্তব্য ও অনুমোদিত কাগজপত্র জমা করলেও চৌরঙ্গি স্ট্রিটের রেস্তরাঁর মালিক কিছু জমা করেনি।

এই সম্পর্কে এক আধিকারিক বলেন, “আমাদের আইন মেনেই চলতে হবে ৷ আর সেইভাবে চললে শহরে রুফটপ রেস্তরাঁ খুলতে দিতেই পারব না। কিন্তু বাস্তব এটাও ঠিক সত্যি এই রেস্তরাঁ ও পানশালগুলিতে বহু মানুষ কর্মরত । তাহলে কী করা যেতে পারে ? সেই পরিস্থিতি বিচার করে উচ্চতর কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে । তবে আইন সংশোধন করা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। পাশাপশি সব খতিয়ে দেখে এসওপি দেওয়া হবে। তবে আইন সংশোধন হবে কি না, সেসব দীর্ঘ সময় ও আলোচনার বিষয় ৷ এগুলি মেয়র নিজে বিবেচনা করে নির্দেশ দিলে তবেই সেই সব প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন এখনও পর্যন্ত আইন বলছে, ছাদ ঘিরে রেস্তরাঁ বা পানশালা করা যায় না। সেই জন্য নোটিশ করা হয়েছে । ফের যদি চালু করার অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে পুর কর্তৃপক্ষকেই আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হবে । ফলে সমস্ত ধাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত আপাতত এই জটিল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না।