কোন দফতরের অনুমতিতে বসছে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির খোয়াই হাট,? সদুত্তর দিতে পারল না বন বিভাগ, প্রশ্ন উঠলো বৈধতা নিয়েও

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সরকারি কোন দফতরের অনুমতিতে বসছে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির খোয়াই হাট ? জাতীয় পরিবেশ আদালতে তা জানাতে পারল না বন বিভাগ ৷ এমনকি, এই হাট ‘বেআইনি’ মামলায় পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্তের অভিযোগগুলিকে জাতীয় পরিবেশ আদালতে হলফনামা দিয়ে কার্যত মান্যতা দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও বন বিভাগ ৷ হলফনামায় উঠে এসেছে বিস্ফোরক সব দাবি । বন বিভাগের জমি দখল করে জঙ্গলে গড়ে উঠেছে রিসর্ট, জঙ্গলের পরিবেশ ধ্বংস করে যথেচ্ছভাবে বাড়ছে প্লাস্টিকের ব্যবহার, জঙ্গলের মধ্যে গাড়ির পার্কিং-সহ একাধিক সরকারি তথ্য ৷

এদিকে পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, “আমি হাটের ছবি তুলে যে অভিযোগগুলো আদালতে করেছিলাম হলফনামায় সেগুলোকে মান্যতা দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও বন বিভাগ ৷ হাটটি বৈধ কিনা তা বলতেই পারেনি । কে এই হাট বসার অনুমতি দিল, তাও জানাতে পারেনি । আদালত যে নির্দেশ দেবে তা দুই পক্ষই পালন করবে বলে হলফনামায় জানিয়েছে ৷ ১৪ নভেম্বর আদালত এই মামলার রায় দেবেন ।”

শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি জঙ্গলে ‘খোয়াই হাট’ মূলত পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ । বছরে লক্ষ লক্ষ পর্যটক আসেন এখানে ৷ শান্তিনিকেতনে বেড়াতে আসা মানেই সোনাঝুরি জঙ্গলের হাটে কেনাকাটা ও আদিবাসী মানুষজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচ । এটা না হলে যেন ঘোরা সম্পূর্ণ হয় না এখানে ৷কিন্তু, এই সোনাঝুরির খোয়াই হাট ‘বেআইনি’। বন বিভাগের জায়গায় পরিবেশ ধ্বংস করে কোনও হাট বসতেই পারে না ৷ এই মর্মে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত । সেই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত হলফনামা চেয়েছিল । নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও বন বিভাগ আদালতে হলফনামা দিয়েছে ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *