কোন পথে মণিপুরের শান্তি ফেরানোর পক্রিয়া ? এবার প্রশ্ন কেন্দ্রের তৈরি ‘শান্তি কমিটি’ নিয়েও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কেন্দ্র সব রকম চেষ্টা করছে পার্বত্য রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য । কিন্তু সমাধান সূত্র কিছুতেই যেন মিলছে না। মণিপুর ক্রমশ উত্তপ্ত হয়েছে একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনায় । সরকার আপাতত রাজ্যে বাড়িয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে ১৫ ই জুন পর্যন্ত। শনিবার রাতে এই তথ্য জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে । মণিপুরে গত ৩রা মে থেকে শুরু হওয়া হিংসার কারণে সরকার রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে।
এক মাস আগে মণিপুরে যে হিংসা শুরু হয়, তাতে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহতের সংখ্যাটা ৩০০ ছাড়িয়েছে। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে গতমাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে গিয়ে সেখানে আদিবাসী জনজাতিদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই সঙ্গে গঠন করা হয় শান্তি কমিটি। কিন্তু কিছুতেই কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসছে না। এর মধ্যেই কেন্দ্রের তৈরি শান্তি কমিটি বয়কট করেছে কুকি সম্প্রদায়। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের উপস্থতিত প্রতিবাদ জানিয়েই তাদের এই বয়কট। তাঁদের অভিযোগ ৫১ সদস্যের একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। তাতে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংও ছিলেন। কিন্তু নেই কোন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি।
এদিকে এক বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রীর নাম শান্তি কমিটিতে রাখার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আদিবাসী নেতাদের ফোরাম (আইটিএলএফ),। সেই সঙ্গে কুকি সম্প্রদায়ের মানুষজন পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। তাদের আরো অভিযোগ, জাতিগত গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) যাদের নাম তালিকায় রেখেছে তাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি সম্প্রদায়ের, তালিকায় সেই সম্প্রদায়ের ২৫ জন সদস্য রয়েছেন । অন্যদিকে ১১ জন কুকি সম্প্রদায়ের ,১০ জন নাগা সম্প্রদায়ের। মুসলিম ও নেপালি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করবেন যথাক্রমে তিন ও দুই সদস্য। কুকি সম্প্রদায়ের দাবি কমিটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধিকে বসানো হয়েছে তাদের কোনো সম্মতি ছাড়া।