গোয়ার নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় থাইল্যান্ডে আটক হল নাইটক্লাবের ২ মালিক

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : গোয়ায় নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ দিন পর থাইল্যান্ডে আটক দুই মালিক সৌরভ লুথরা ও তার ভাই গৌরব লুথরা ৷ বৃহস্পতিবার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ঘটনার পর ভারত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল সৌরভ লুথরা ও তার ভাই ৷ ফেরার দুই ভাইয়ের পাসপোর্ট বাতিল করতে চেয়ে বুধবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছিল গোয়া সরকার। এ বিষয়ে কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ চেয়ে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই মতো বুধবার রাতেই সৌরভ ও গৌরবের পাসপোর্ট সাসপেন্ড বা সাময়িকভাবে অবৈধ করা হয়। এরপর থাইল্যান্ড পুলিশ তাদের আটক করে । এরপর দুই ভাইয়ে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে ৷

আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নাইটক্লাবের দুই মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ব্লু কর্নার নোটিশ জারি করা হয়েছিল ৷ ভারত সরকারের অনুরোধে তাদের আটক করেছে থাইল্যান্ড পুলিশ ৷ শীর্ষ আধিকারিকরা নিশ্চিত করেছেন যে, দুই অভিযুক্তকে থাইল্যান্ডের ফুকেট থেকে আটক করা হয়েছে ৷ তাদের ভারতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে ৷ আধিকারিকদের মতে, উত্তর গোয়ার আরপোরায় অবস্থিত তাদের নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর জানার এক ঘণ্টার মধ্যেই গত ৭ ডিসেম্বর রাত ১ টা ১৭ মিনিট নাগাদ এই দু’জন একটি ট্রাভেল পোর্টালের মাধ্যমে ফুকেট যাওয়ার টিকিট বুক করে। পুলিশ ও প্রশাসন যখন আগুন নেভাতে এবং সেখানে আটকে পড়া কর্মীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছিল, ঠিক সেই সময়েই রবিবার ভোরের দিকে তারা একটি ইন্ডিগো ফ্লাইটে ভারত ছেড়ে চলে যায়। এরপরই গোয়া পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ‘ব্লু কর্নার নোটিশ’ জারির জন্য সিবিআই-এর কাছে আবেদন করেছিল।

উত্তর গোয়ার একটি নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যু হয় ৷ এর কয়েকদিন পর, জেলা প্রশাসন পর্যটন কেন্দ্রগুলোর ভিতরে আতশবাজি, ফুলঝুরি এবং বাজি ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে । ৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতের দিকে আরপোরায় অবস্থিত নাইটক্লাবে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উত্তর গোয়া জেলা প্রশাসন বুধবার সন্ধ্যায় এই আদেশ জারি করে। জেলা প্রশাসনের একজন শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩ -এর ১৬৩ ধারা অনুযায়ী এই আদেশ জারি করা হয়েছে ৷ যেখানে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর ভিতরে আতশবাজি, ফুলঝুরি, পাইরোটেকনিক সরঞ্জাম, ফ্লেম থ্রোয়ার-এর মতো যন্ত্র, ধোঁয়া সৃষ্টিকারী যন্ত্র এবং অনুরূপ আগুন বা ধোঁয়া উৎপাদনকারী সরঞ্জাম ব্যবহার, ফোটানো, জ্বালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *