গ্রেফতার করা হয়েছিল পকসো কেসে , সংশোধনাগারের ভিতর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হল শিক্ষকের মৃতদেহ

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বর্ধমান সংশোধনাগারে আত্মঘাতী এক শিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে পক্সো আইনে মামলা রুজু হয়েছিল। সেই শিক্ষকেরই উদ্ধার হল নিথর দেহ। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারের একাংশ লোকজনের দাবি, শিক্ষককে খুন করা হয়েছে। আবার কেউ-কেউ জানালেন, সম্মানহানি মেনে নিতে না পেরেই এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।জানা গেছে মৃত ব্যক্তির বয়স তেত্রিসের কাছে। বাড়ি বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব বর্ধমানে একটি কোচিং সেন্টারে টিউশন পড়াতেন। গত বছরের অক্টোবর মাসে তাঁর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতারও করে। এরপর তাঁকে বর্ধমান সংশোধনাগারে রাখা হয়। ঘটনার দিন সকালে হঠাৎ পরিবারের কাছে খবর যায়, সংশোধনাগারের বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।

খবর পেয়ে সংশোধনাগারে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। মৃতের মামা বলেন, “এই ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতর কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, সেটা একটা প্রশ্নের। আমরা যেভাবে মৃতদেহ দেখেছি, তাতে আত্মহত্যা মনে হয়না না। তার গলায় দড়ি সামনের দিক থেকে কেটে ঢুকে গিয়েছে। মুখে মোজা গোঁজা ছিল। এটা চরম সন্দেহজনক। আমাদের বিশ্বাস, ওকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। আমরা এই নিয়ে অভিযোগ জানাব।

তিনি আরও জানান এ বিষয়ে পুলিশ আমাকে কিছু বলতে বারণ করছে।” এদিকে পরিবারের আরও অভিযোগ, যেই ছাত্রীর পক্ষ থেকে অভিযোগ টি এসেছিল, সেটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অগস্ট মাসে মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। আমরা আশাবাদী ছিলেন মুক্তি পেয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে এক অভিভাবক এও বলেন, “পুরোটাই অসম্মানের জন্য। আমার মেয়েকেও পড়াতেন। কখনও মনে হয়নি উনি এমন কাজ করতে পারেন। উনি এই সম্মানহানিটা মেনে নিতে পারেননি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *