চরম অপ্রাসঙ্গিক’ মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা! শরদ পাওয়ারের বিরাট ইঙ্গিত বিরোধীদের বিদ্ধ করে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। বিরোধী দলের একাধিক নেতা এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে । এবার এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার মুখ খুললেন মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে! ঠিক কী বলেছেন তিনি?পাওয়ার বিরোধীদের কটাক্ষ উড়িয়ে মোদীর সমর্থনে বলেন,’ শিক্ষাগত যোগ্যতা কোন বড় বিষয় নয়’রাজনীতির ক্ষেত্রে। উল্লেখ্য ইতিমধ্যে কংগ্রেস আদানি ইস্যু নিয়ে শরদ পাওয়ারের ভুমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তাকে কটাক্ষ করেছেন ভীত ও কাপুরুষ বলেও। এর ঠিক পরেই পাওয়ারের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ার আবারও প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি এবং শিক্ষা ইস্যুতে বিরোধীদের নিশানাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘যারা নেতাদের ডিগ্রির প্রসঙ্গ তুলছেন তারা সঠিক কাজ করছে না’। দেশ যখন একাধিক বড় সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন কোনো ভাবেই ঠিক নয় একজন নেতার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা। উল্লেখ্য ,প্রধানমন্ত্রী মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বারেবারেই প্রশ্ন তুলেছেন উদ্ধব ঠাকরে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়ার মতো নেতারা ।

এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, পাওয়ার এও বলেন বেকারত্ব, আইনশৃঙ্খলা এবং মুদ্রাস্ফীতির মতো একাধিক বিষয় যেখানে সামনে রয়েছে সেখানে নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা । উচিত একমাত্র প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলির দিকেই ফোকাস করাটা ।

পাওয়ার এও বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়! কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করুন বেকারত্ব, আইনশৃঙ্খলা, মুদ্রাস্ফীতির মত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। ধর্ম-বর্ণের নামে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এগুলো নিয়ে আলোচনা করা দরকার। শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক।

তবে এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও তিনি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিপ্তে আদানিকে নিয়ে কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবিরের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করেন। কংগ্রেস অবশ্য এপ্রসঙ্গে বলেছে এনসিপির নিজস্ব মতামত থাকতে পারে, তবে সমস্ত বিরোধী দল সামিল হয়েছে মোদীবিরোধী ঐক্যে । তবে গোটা বাজেট অধিবেশনেই সংসদ ব্যাপক তোলপাড় হয় আদানি ইস্যুতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *