চরম নৃশংসভাবে খুন করা হল ছত্তীসগঢ়ের সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকে ! এমনকি হৃদপিণ্ডও ছিড়ে বের করা হল বুকের পাঁজর ভেঙে!

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ছত্তীসগঢ়ের সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্র করের দেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নৃশংসতার ছবি ফুটে উঠেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে বিশিষ্ট এই সাংবাদিকের পাঁজর ভেঙ্গে ছিড়ে বার করে নিয়ে আসা হয়েছিল হৃৎপিণ্ড। ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকদের বক্তব্য দীর্ঘদিন ধরে তারা এই কাজে যুক্ত আছেন কিন্তু এরকম নৃশংসতা এর আগে কোনদিন তারা দেখেনি।মুকেশের বুকের পাঁচটি পাঁজর ভাঙা ছিল। তাঁর লিভার টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, তাঁর মাথাতেও একাধিক হাড় ছিল ভাঙা।

গত ৩ জানুয়ারি ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে স্থানীয় ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকরের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মুকেশের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, দুর্নীতি মামলায় ঠিকাদার সুরেশের কারসাজি ফাঁস করে দিয়েছিলেন মুকেশ। তার পরেই তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই সুরেশ পলাতক ছিলেন। রবিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত সাংবাদিকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, সেখানে বলা হয়েছে, মুকেশের হৃৎপিণ্ড ছিঁড়ে বার করে আনা হয়েছিল। ভাঙা হয়েছিল বুকের পাঁজর। তাঁর মাথায় অন্তত ১৫টি হাড় ভাঙা ছিল। এমনকি, তাঁর ঘাড়ের হাড়ও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। মুকেশের শরীরে তাঁর লিভারের চারটি টুকরোও পেয়েছেন ময়নাতদন্তকারীরা।

এদিকে চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের হত্যাকাণ্ড এক জনের পক্ষে সম্ভব নয়। দুইয়ের বেশি মানুষ এই খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন বলে তাঁদের ধারণা। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে ছত্তীসগঢ় পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। এখনও পর্যন্ত তারা মোট চার জনকে গ্রেফতার করেছে। মূল অভিযুক্ত সুরেশকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয় হায়দরাবাদ থেকে। তার আগে তাঁর দুই ভাই রিতেশ এবং দীনেশকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন মুকেশের এক তুতো ভাইও। জানা গেছে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের চ্যানেলে কাজ করতেন মুকেশ। বস্তারে ১২০ কোটি টাকার একটি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সুরেশ সেই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে । তাঁর একাধিক কীর্তি ফাঁস করেছিলেন মুকেশ। যার ফলে রাজ্য সরকারও এই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *