চিকিৎসা চলাকালীন একের পর এক কোপ ছুরি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েই , কেরলে খুন মহিলা চিকিৎসক, প্রবল বিক্ষোভ রাজ্যজুড়ে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : একের পর এক কোপ মত্ত অবস্থায় এক রোগীর চিকিৎসকের ওপর ধারালো ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কর্তব্যরত অবস্থায় এক মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে । জানা গিয়েছে মত্ত অবস্থায় বছর ৪২-এর সন্দীপ আহত হন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতিতে। তিনি পেশায় মূলত একজন শিক্ষক। তাকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য। সেই সময় একাই কর্তব্যরত ছিলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। চিকিৎসা চলাকালীন হঠাৎ করেই তিনি ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই মহিলা চিকিৎসকের ওপর। শেষ রক্ষা হয় নি প্রাণ বাঁচাতে রোগীকে ধাক্কা মেরে দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে এলেও। এই ঘটনায় চার গুরুতর আহত হয়েছেন পুলিশকর্মীও ।

মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনায় চিকিৎসকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শহরজুড়ে। এমনকি তারা বিক্ষোভ দেখান পথ অবরোধ করেও । অন্যদিকে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এমন ঘটনাকে উল্লেখ করেছেন ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেও। রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিকিৎসকরাও । পুলিশ সূত্রে খবর বছর ৪২-এর সন্দীপ, পুয়াপল্লি চেরুকারকোনামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মত্ত অবস্থায় প্রথমে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার বিবাদ হয়। এ সময় তিনি আহতও হন, পরে পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পায়ের ক্ষতের চিকিৎসার সময় হঠাৎ করেই ওই ব্যক্তি কাঁচি এবং একটি ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন মহিলা চিকিৎসকের ওপর ।

পুলিশ কর্মকর্তারা এও জানান, হামলার সময় রোগী ও চিকিৎসক ঘরে একাই ছিলেন। রোগী তাকে আক্রমণ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার জীবন বাঁচাতে বাইরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ কর্মীরা তাকে ধরার চেষ্টা করলে সে আক্রমণ করে তাদেরও। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন চার পুলিশ কর্মীও। হামলার পরে, পুলিশ ওই মহিলা চিকিৎসককে নিয়ে যায় তিরুবনন্তপুরমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ওই মহিলা চিকিৎসকের সেখানেই মৃত্যু হয় ।

এদিকে কেরল হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে কেরালায় এক মহিলা চিকিৎসককে খুনের ঘটনায়। আদালত রাজ্যের পুলিশ প্রধানকে এই বিষয়ে আদালতে একটি রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় আদালত কড়া সমালোচনা করেছে কেরল সরকার ও পুলিশকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *