জেনে নিন মেরুদণ্ডের হাড়ক্ষয়ের কি কি কারণ ও আর কি কি করণীয়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : হাড়ক্ষয়ের সমস্যায় ভুগে থাকেন প্রায় অনেকেই। এই সমস্যা বেশি পরিলক্ষিত হয় এমনকি বয়স্কদের ক্ষেত্রেই। শরীরের হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়াকে অস্টিওপরোসিস বা হাড়ক্ষয় বলে অবিহিত করা হয়। অস্টিওপরোটিক এর ক্ষেত্রে হাড় অনেকটা মৌচাকের মতো হয়ে যায়। এতে হাড় ঝাঁজরা বা ফুলকো হয়ে যায়। ফলে আশঙ্কা বেড়ে যায় অতিদ্রুত ভেঙে যাওয়ারও।হাড়ক্ষয় বেশি হয়ে গেলে তা ভেঙে যেতে পারে হাঁচি বা কাশি দিলেও। মূলত শরীরের হাড়ক্ষয় বা এর লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে বয়স ৫০ পেরোনোর পর থেকেই।
হাড়ক্ষয় কেন হয়? এটি নির্ভর করে প্রধানত আপনার ১৫ থেকে২৫ বছরের মধ্যে হাড়ের ঘনত্বের সঙ্গে ক্যালসিয়াম, ফসফেট, কোলাজেন ফাইবারের উপস্থিতি কেমন হবে তার ওপরই। এছাড়াও হাড়ক্ষয় হতে পারে বিভিন্ন কারণেও ।নারীদের এ রোগের ঝুঁকি বেশি মেনোপজ-পরবর্তী সময়। যারা নিয়মিত ব্যায়াম না করেন, অতিরিক্ত ওজন, নিয়মিত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণ না করেন, ধূমপায়ী ও মদ্যপানকারী, হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি বেশি থাকে মূলত যাদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন, টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কম, যাদের থাইরয়েড ও প্যারাথাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বেশি এবং এই রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকলেও, এমনকি যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেননা, যাদের অতিরিক্ত ওজন, যারা নিয়মিত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণ করেন না তাদের ক্ষেত্রে এছাড়াও ধূমপায়ী ও মদ্যপানকারীদেরও হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি বেশি থাকে, আর বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি রোগেও হাড়ক্ষয় রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
উপসর্গ: প্রথমত শারীরিক কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে। তবে কোমরে, পিঠে বা অন্য কোথাও ব্যথা, যা বিশেষ করে ব্যথা নাশকে কমে না এমন চরিত্রের ব্যথা হলে বুঝবেন হাড়ক্ষয় হয়ে গেছে।কারো কারো দৈহিক উচ্চতা কমে যাওয়া, কুঁজো হয়ে যাওয়া বা সামনে ঝুঁকে থাকার প্রবণতা বাড়ে। তবে গোপনে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপার হলো- মেরুদণ্ডে ফাটল বা চিড় ধরা এবং ঠুনকো আঘাতেই হাড় ভাঙা।
বুঝবেন কীভাবে? অনেক রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হতে পারে-কিছু ঘনত্ব পরিমাপের জন্য, কিছু আবার ঝুঁকি চিহ্নিত করার জন্য। চিকিৎসা: প্রধান ও প্রথম পদক্ষেপ হবে ঝুঁকি শনাক্তকরণ, সম্ভব হলে তা রহিত করা। যেহেতু হাড়ক্ষয় একবার হলে তার ক্ষয়পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, তাই জাতীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসূচি নিতে হবে একে আগেভাগেই রোধ করার ।এর অংশ হিসেবে কারা কতটুকু ঝুঁকিতে আছেন বা কারা ইতিমধ্যে হাড়ক্ষয়ে ভুগছেন, তা নির্ধারণ করতে হবে এবং উপযোগী চিকিৎসা নির্বাচন ও প্রয়োগ করতে হবে।হাড়ক্ষয় রোধে কিছু পদক্ষেপ বিবেচনা করা যেতে পারে- নিয়মিত ব্যায়াম, স্টেরয়েডসহ ক্ষতিকারক ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকা, পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, ধূমপান ত্যাগ, প্রয়োজনে পরিমিত ক্যালসিয়াম সেবন।