‘জ্যাক অলিভল বডি অয়েল’তৈরি হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই , প্রয়াত হল বাঙালি শিল্পোদ্যোগী রসময় দাস

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : চলে গেলেন জ্যাক অলিভল প্রোডাক্টস লিমিটেড সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা চেয়ারম্যান রসময় দাস। মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা বা এক ধরণের লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন। শোকাহত তাঁর স্ত্রী তপতী দাস এবং দুই পুত্র রাজর্ষি ও রীতেশ দাস। শোকস্তব্ধ বাংলার শিল্পমহলও। বাঙালি শিল্পোদ্যোগী হলেও, রসময় দাসের জন্ম হয়েছিল বিহারের পটনায়। সেখানেই কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। পরে, কলকাতার বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে স্থাপন করেছিলেন ‘হ্যানিম্যান ল্যাবরেটরি ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স প্রাইভেট লিমিটেড’। এই ল্যাব থেকেই জন্ম নিয়েছিল রসময় দাসের সবথেকে জনপ্রিয় পণ্য, জ্যাক অলিভল বডি অয়েল। থাকতেন বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে। এদিন সকালে সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁর আত্মীয়-পরিজনরা।

সংবাদপত্রে বা টেলিভিশনে জ্যাক অলিভল সংস্থার বডি অয়েলের বিজ্ঞাপন চোখে পড়েনি, এমন লোকের সংখ্যা হাতে গোনা। আর জ্যাক অলিভল সংস্থার বিজ্ঞাপনে রসময় দাসের ছবি থাকবেই। সঙ্গে কাজেই তাঁর মুখ অনেকেরই পরিচিত। তবে, নামটার সঙ্গে হয়তো সেভাবে পরিচিতি নেই। আসলে, একটা প্রচলিত ধারণা আছে – বাঙালি ব্যবসা করতে পারে না। এই ধারণার মূলে আঘাত করেছেন যে সকল বাঙালি শিল্পোদ্য়োগীরা, তাদেরই অন্যতম রসময় দাস।

জ্যাক অলিভলের বিজ্ঞাপনে সবসময়ই ছবি থাকত রসময় দাসের

বিহারের পটনা সায়েন্স কলেজে মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন রসময় দাস। প্রাথমিকভাবে চাকরি করতেন। কিন্তু, মাথায় সবসময় ছিল নিজস্ব উদ্যোগে ব্যবসা স্থাপনের ভাবনা। ১৯৯০ সালে বিয়ে করেছিলেন তপতী দাসকে। ২০০৪ সালে, স্ত্রী তপতীর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে শুরু করেছিলেন হ্যানিম্যান ল্যাবরেটরি লিমিটেড। কয়েক বছরে মধ্যেই বাজারে এসেছিল তাদের জনপ্রিয়তম পণ্য, জ্যাক অলিভল বডি অয়েল। ২০০৯ সালে এই পণ্যের জন্য ট্রেডমার্ক নিয়েছিল হ্যানিম্যান ল্যাব। ২০২১-এ রতন কুমার দেবের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে শুরু করেন হ্যানিম্যানস জ্যাক অলিভল গ্রুপ অব প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *