ট্রলার ডুবল হলদি নদীতে ! মৃত ৩, নিখোঁজ হল আরও ১ জন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে হলদি নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১ মত্সজীবী। মত্সজীবীরাই ২ টি দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে এদিন সকালে। স্থানীয় মত্সজীবীরা মাছ ধরতে বেরিয়ে দেখেন নদীতে ২ টি দেহ ভাসছে কাটাখালি এলাকায়। প্রসঙ্গত, শনিবার একটি ট্রলার ডুবে যায় হলদি নদীতে। সেটিতে ছিলেন ১৪ জন মত্সজীবী। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে ১০ জনকে। উপকূলরক্ষা বাহিনী এবং এনডিআরএফের দল জোরকদমে তল্লাশি চালাচ্ছে বাকি নিখোঁজ মত্সজীবীদের খোঁজে।
আরও জানা গেছে মত্সজীবীদের দলটি শনিবার মাছ ধরার উদ্দেশে বের হন নন্দীগ্রামের কেন্দামারি জলপাই গ্রাম থেকে । কিন্তু রাত ১১ টার দিকে ট্রলারটি আর যেতে পারেননি হলদি নদীতে পাড়ের থেকে কিছুটা এগিয়েই। ট্রলারটি ডুবে যায় জোয়ারের জলের ধাক্কায়। ট্রলারটির নাম ছিল মা করুণাময়ী। স্থানীয়দের কথায়, ১৪ জন মত্সজীবীর দল রান্নাবান্না করছিলেন পাড় থেকে কিছুটা দূরে নোঙর করে। আর ট্রলারটিতে ছিল কয়েকশো লিটার ডিজেলভর্তি ব্যারেলও। এমনকি ট্রলারটি ডুবে যায় জোয়ারের জলের প্রবল ধাক্কায়। প্রাণ বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দেন মত্সজীবীরা। তার মধ্যে সাঁতরে পারে উঠে আসেন ৯ জন মত্সজীবী। পরে উদ্ধার করা হয় বাকি ২ জনের দেহ।
প্রশাসনের আধিকারিকদের মতে, বারবার সতর্ক করা হয়েছিল যে নদীতে যেন মাছ ধরতে না যাওয়া হয় জোয়ারের সময়। সতর্ক করা হয়েছিল এমনকি মত্সজীবীদেরও। এই দুর্ঘটনা ঘটে গেল সতর্কবার্তা না মেনে নদীতে য়াওয়াতেই। রিভার ট্রাফিক পুলিশ নদীতে তল্লাশি চালায় প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধর। তল্লাশি চালাচ্ছে এমনকি এনডিআরএফের দলও। ঘটনাস্থলে রয়েছেন এমনকি নন্দী গ্রাম থানার পুলিশ, হলদিয়ার এসডিপিও, নন্দীগ্রামের বিডিও সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা ।