ডাক্তার দিবসে মানুষের সেবা দিয়েই কাটাতে চান বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার শীর্ষেন্দু পাল
নিজস্ব সংবাদদাতা : সারা বছর ধরেই তিনি নিজেকে সেবামুলক কাজের মধ্যে দিয়ে জড়িয়ে রাখেন।আর আজকে ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম এবং মৃত্যু দিবস এই দিনটি পালিত হয় ডক্টরস্ ডে বলেও, আর এই দিনটিতে অন্যান্য ডাক্তারদের মত কাটাতে চান না ডাক্তার শীর্ষেন্দু পাল, তিনি জানান আমি আজকের থেকেই নয় আমার চিকিৎসক জীবনের সূচনা থেকেই গরীবদের জন্য ভাবতে শিখেছি, আজকে এত বছর হয়ে গেল আমি আমার লক্ষ থেকে সরে যাই নি। আমি একটা জিনিসই বুঝতে পেরে গেছি মানুষের সেবা করলেই ভগবানের সেবা করা যায়। ” বিবেকানন্দের সেই উক্তি “জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ইশ্বর “। মানুষের মধ্যে ভগবান আছেন। দুস্থ, অসহায় এবং অনাথ মানুষের কাছে নিজেকে নিয়ে যেতে হবে। তাদের চাহিদা বুঝতে হবে, তারা যেভাবে জীবন কাটিয়ে চলেছে সেইভাবে আমাদের তাদের পাশে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতে হবে। সবারই তো ইচ্ছে করে একটু ভালোভাবে বেচে থাকবার, আর আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে সেই ব্যাপারটা। আমি শিলিগুড়িতে থাকলে সময় বের করে অসহায় এবং দুস্থদের কাছে গিয়ে ওদের আসল সমস্যাগুলো বুঝতে চেষ্টা করি। একটু বুঝি বলেই হয়ত এই কাজে আমি কিছুটা হলেও সফল।
এদিন ডাক্তার শীর্ষেন্দু পাল এও বলেন আমার কাছে বড়লোক এবং গরীব সকলেই সমান, সবার মধ্যে ভগবান আছেন আর তাই সেটা আমাদের বুঝতে চেষ্টা করি। ডাক্তার শীর্ষেন্দু পাল জানান আমার কাছে সবাই সমান। মানুষের পাশে দাড়িয়ে ওদের জন্য যদি কিছুই না করলাম তবে আর মানে কি? তিনি আরো জানান আমার পরিবারের লোকজন আমাকে সবসময় এই কাজে সাহায্য করে। আমি নিজে এর থেকে অনেকটা শক্তি পাই। ওষুধ এবং খাদ্যের প্রতি আমি বেশী জোর দিয়েছি যেটা একজন মানুষের কাছে সবচাইতে জরুরী বেচে থাকার জন্য। আগামী দিনেও আমি সেইভাবেই আমার চিন্তার মধ্যে দিয়ে তা পালন করতে চেষ্টা করব। ডাক্তার শীর্ষেন্দু পাল আরো বলেন আমার কাজই হল গরীব এবং অসহায় মানুষের পাশে এসে দাড়ানো,আর আমি আমার এই কাজের জন্য নিজেকে যথেষ্ট গর্বিত বলেই মনে করি।