তিন ধরনের কুলচাষ নদীর চরে, পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিকের নতুন আয়ের দিশা কাজ হারিয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আনন্দ শুর, শ্যামল বিশ্বাসের মতো পরিযায়ী শ্রমিকরা একরকম তাক লাগিয়ে দিলেন নদীর চর এলাকায় শুকনো পলিমাটিতে তিন ধরনের কুলচাষ করে।তাঁদের বাগানের আপেল কুলের বিশেষ চাহিদা রয়েছে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে। তাই কুলচাষিরা দিন-রাত এক করে গাছ থেকে আপেল কুল পাড়তে ব্যস্ত পুজোর আগে।
কোচবিহার জেলার পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক রামপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের জালধোঁয়া রায়ডাক নদীর বালির চর এলাকায় প্রায় ১০ বিঘা জমিকে চাষের উপযুক্ত করেন করোনার কোপে কাজ হারিয়ে। এরপর চাষ করেছেন আপেল কুল, চেরি কুল ও বাবা কুল। যা বর্তমানে ভরপুর ফুলে-ফলে পরিপূর্ণতায়।
কথা প্রসঙ্গে কুলচাষি শ্যামল বিশ্বাস ও আনন্দ সুর জানিয়েছেন, ভিন রাজ্য থেকে অনেকদিন হল বাড়ি ফিরেছেন করোনার কোপে কাজ হারিয়ে। কুলচাষের আগ্রহ হয় পাঁচজন মিলে আলোচনার পর। সরকারি সাহায্যের আশায় তাঁরা ব্যর্থ হয় বক্সিরহাট বিডিও অফিস ও গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে শত চেষ্টার পরেও । এরপর নদীর চরে পলিমাটিকে চাষের উপযুক্ত করে কুলচাষ শুরু হয় ব্যাঙ্ক থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে।