তিন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল মদ খাইয়ে যুবতীকে গণধর্ষণের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : তিন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে গিয়ে যুবতীকে মদ খাইয়ে আমবাগানে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের। পরিবারের সদস্যরা বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন সংজ্ঞাহীন অবস্থায় যুবতীকে উদ্ধার করে। মঙ্গলবার রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁ থানার ভরতপুর কালিতলা এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে দেবব্রত রায় নামে এক যুবককে।এই ঘটনায় পালাতক বাকি দুই অভিযুক্ত। পুলিশ তাদের সন্ধান শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় বিউটিশিয়ান নির্যাতিত ওই যুবতী ভরতপুরে মামার বাড়ি ঘুরিতে এসেছিলেন লক্ষ্মী পুজোর মেলা উপলক্ষ্যে। সেখানে জন্মদিন ছিল সুদীপ বিশ্বাস নামে এক যুবকের। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়েকজন বন্ধু কেক হাতে নিয়ে সুদীপের বাড়িতে হাজির হয় তাঁকে চমক দেওয়ার জন্য। তাঁদের মধ্যে ছিলেন দুই যুবতীও। সুদীপ জানিয়েছেন, এমনকি মদ্যপানও করেন বাইরে থেকে যে বন্ধু এবং বান্ধবীরা এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন।তাঁর মধ্যে ছিল নির্যাতিতা যুবতী এবং অভিযুক্ত তিন যুবকও।
আরও জানা গেছে, সুদীপ দুই বান্ধবীকে বাড়িতে পৌঁছে দেন রাত ন’টা নাগাদ। তাঁর বাড়ি থেকে চলে যায় এমনকি বাকি বন্ধুরাও। কিছুক্ষণ পর তাঁকে নির্যাতিতার ভাই এসে বলে, বাড়ি ফেরেনি তাঁর দিদি। এমনকি তাঁকে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। সুদীপ ও নির্যাতিতার ভাই ওই যুবতীকে খুঁজতে বের হন এই খবর শুনে। বেশ কিছুক্ষণ পর বিবস্ত্র অবস্থায় ওই যুবতীর খোঁজ মেলে বাড়ির পাশের আমবাগান সংলগ্ন একটি ঘর থেকে৷ তাঁকে উদ্ধার করে তাঁর বাড়ির সদস্যরা ভর্তি করান বনগাঁ হাসপাতালে। নির্যাতিতার পরিবারের আরও দাবি, জন্মদিনের পার্টিতে মদ খাওয়ানো হয়েছিল ওই যুবতীকে। পরে বাড়ির সামনে থেকে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে আমবাগানের ওই ঘরে নিয়ে যায় অভিযুক্ত তিন যুবক। সেখানেও তারা তাঁকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করে। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি তুলছেন এমনকি নির্যাতিতার পরিবারও। খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।পুলিশ এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে দেবব্রত রায় নামে এক যুবককেও। বুধবার ধৃতকে তোলা হয় বনগাঁ মহকুমা আদালতে। পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে বাকি দুই অভিযুক্তেরও।