তোলা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারতে মারতে তুলে নিয়ে গেলো দুষ্কৃতীরা, অবশেষে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল হাড়হিম করা সেই ঘটনা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় প্রকাশ্য রাস্তায় লোকজনের সামনেই ব্যবসায়ীকে বাইক থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হল মারধর করতে করতে । অবশেষে সেই ছবি ধরাও পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায় । সেই সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরালও হয় ইতিমধ্যেই । অভিযোগ, পরে ওই ব্যবসায়ীকে কাঁঠাল গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। এমনকি আরো জানা গেছে নিয়মিত হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে , আর তার জেরে চরম আতঙ্কে এবং প্রাণভয়ে ঘরছাড়া ব্যবসায়ীর পরিবারও । ঘটনাটি মালদহের কালিয়াচক থানার হতেখানি বাঙালি পাড়া এলাকার। মহম্মদ রহিম বিশ্বাস নামে ওই ব্যবসায়ী অবশেষে মালদহ জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয় । এদিকে ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে মুখ্যমন্ত্রীকেও অভিযোগ জানানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মালদহ জেলা চেম্বার অব কমার্স।

আক্রান্ত ব্যবসায়ী রহিম বিশ্বাসের অভিযোগ, ২০২২ সালে কালিয়াচকের ত্রাস জহুরুল খান তাঁকে অপহরণ করেছিলেন। পুলিশি তৎপরতায় মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানা এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে। কিন্তু কয়েক মাস হল জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরেই এলাকায় ফিরে এসে আবার সন্ত্রাস শুরু করেছেন জহুরুল খান। আক্রান্ত ব্যবসায়ীর আরও অভিযোগ, থানায় করা অপহরণের অভিযোগ প্রত্যাহার এবং ৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয় তাঁর কাছে। এরপরই বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় মারতে মারতে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে কাঁঠাল গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। কোনও মতে প্রাণ রক্ষা করে বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপর থেকে আতঙ্কে ঘরছাড়া ওই ব্যবসায়ী পরিবার।

এদিকে এই বিষয়ে মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ড বলেন, “আমরা পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করব, যাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আর পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত আকারে জানাব।” স্থানীয় সূত্রে খবর, জহুরুল খান একসময় তৃণমূলের দাপুটে নেতা ছিলেন। জেলার একাধিক বিধায়ক এবং নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁকে নিয়মিত দেখা যেত। তবে সমাজবিরোধী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ায় তৃণমূল তাঁকে বহিষ্কার করে। তবে ব্যবসায়ীকে মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসার পর শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *