দেশের এই আদিবাসী গ্রামের অধিকাংশ ঘরেই রয়েছেন একজন করে সরকারী কর্মচারী

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সভ্য সমাজের ভিত মজবুত করতে প্রয়োজন শিক্ষা ৷ জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে এই শিক্ষাই পারে একটি দেশকে উন্নত করে তুলতে ৷ বিষয়টি যেন ওষুধের মতো শরীরের প্রতিটি রন্ধ্রে ঢুকে গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের ভিনুকোন্ডার বোল্লাপল্লি গ্রামের বাসিন্দাদের ৷ আর তাই গ্রামের প্রতিটি ঘরেই রয়েছেন একজন চাকরিজীবী ৷ যাঁদের অধিকাংশই সরকারি কর্মচারী ৷

নাল্লামালা বনের ধারে একটি ছোট আদিবাসী গ্রাম ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামটি শিক্ষা ও সামাজিক অগ্রগতির একটি মডেল হয়ে উঠেছে । প্রায় ২৫০ টি পরিবার নিয়ে গড়ে ওঠে এই গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই রয়েছেন একজন করে সরকারি কর্মচারী । বোল্লাপল্লি মণ্ডলে অবস্থিত রেড্ডিপালেম গ্রামের নামে ‘রেড্ডি’ নামটি থাকলেও এর ১০০ শতাংশ বাসিন্দা তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের । তবে এই বর্ণের ভেদাভেদ তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতায় একেবারই ধরা পড়ে না ৷

এক শতাব্দীরও বেশি সময় আগে গ্রামের অগ্রগতির ভিত্তি স্থাপন করা হয় ৷ স্বাধীনতার আগে ১৯১২ সালে এই গ্রামে একটি রোমান ক্যাথলিক চার্চের সঙ্গে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয় । সেই থেকেই বদলে যায় গ্রামের ভবিষ্যত ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষিত হয়ে উঠতে থাকে গ্রামের প্রতিটি বাসিন্দা ৷ বর্তমানে গ্রামের ৬৫ জন বাসিন্দা বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মী ৷ শুধু তাই নয়, বিভিন্ন দফতরে উচ্চপদেও দায়িত্ব সামলেছেন এই গ্রামের বাসিন্দা ৷ এই গ্রামে জন্ম হয় বালাস্বামীর ৷ নরসারাওপেটের একজন সিনিয়র সিভিল জজ এবং কোর্টের আধিকারিক ছিলেন তিনি । দীর্ঘদিন বাণিজ্যিক কর বিভাগে ডেপুটি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । গ্রামের আরও একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন মোগিলি কিরণ ৷ বর্তমানে তিনি বিশাখাপত্তনমে রাজস্ব আধিকারিক হিসাবে কর্মরত । এছাড়াও, গ্রামের ১৬ জন শিক্ষক, ৮ জন ব্যাঙ্ক কর্মী-সহ পুলিশ, ডাক, কর ও অন্যান্য বিভাগে কর্মরত। নিকটবর্তী শ্রীচক্র সিমেন্ট কারখানায় ৪০ জনেরও বেশি গ্রামবাসী কর্মরত । অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী-সহ প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই কমপক্ষে একজন কর্মচারী রয়েছেন ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *