দেশ তোলপাড় কৃষি বিল নিয়ে , এমনকি রাজ্যের শষ্যগোলা বর্ধমানের চাষিরাও পড়লেন চরম ধন্দের মধ্যে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : গোটা দেশ কার্যত থমকে গেছে কোভিড বিপর্যয়ের জেরে। হাড়ির হাল অবস্থা দেশের জিডিপির। হাজার হাজার মানুষেরও কর্মহীন অবস্থা প্রায় গোটা দেশ জুড়েই। অবহেলিত কৃষিই এখন ভরসা এই গভীর বিপর্যয়ের মুহূর্তে। ঠিক তখনই দেশ তোলপাড় হলো কেন্দ্রের আনা কৃষি বিল নিয়ে।
অবিভক্ত বর্ধমানকে অবিহিত হত বাংলার শস্যগোলা হিসেবেও। এ জেলা এখনও এক নম্বরে ধান চাষের ক্ষেত্রেও। আলুতে স্থান ঠিক হুগলি জেলার পরেই। এদিকে জেলার নানা প্রান্তে কৃষি বিল নিয়ে চাষিদের কপালে গভীর ভাঁজ গত কয়েকদিন ধরেই। আলোচনাও জোরদার মফস্বলের চায়ের দোকান বা গ্রামের আটচালাতেও। সারা ভারত কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার বলেন, ‘‘চাষির কথা এতদিন কেউ ভাবেনি। ভাবেও না। এমনকি রাজ্যে বড় ধরণের আন্দোলনের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে এই কৃষি বিল নিয়ে। কারণ এই বিল রূপায়িত হলে ফের আকাল নামবে। দুর্ভিক্ষ আসবে। আবারও খাদ্য আন্দোলন করতে হবে।’’
অমলবাবুর আরও যুক্তি, ভয়ানক বিপর্যয় ঘটবে মান্ডি ছাড়া কৃষজাত পণ্যের গোটাটাই খোলাবাজারের হাতে ছেড়ে দিলে। প্রথমে নানা সুযোগ সুবিধা দিলেও কর্পোরেটের মৃগয়াক্ষেত্রে পরিণত হবে কৃষিপণ্যের সমগ্র বাজারটা। কার্যত দাসে পরিণত হবে চাষিরা। চাষির কষ্টের ফসল কেনা হবে যা খুশি তাই দামে। আর বড়বড় কোম্পানি তাদের লাভটুকু বুঝে নেবে ঢালাও চুক্তিচাষে।কর্পোরেট উৎপাদন করবে লাভজনক ফসল। যা যাবে বাইরে; যা মুনাফাও দেবে অধিক পরিমানে। মার খাবে খাদ্যশস্যের উৎপাদন। বিপন্ন হবে দেশের মানুষ। দেখা দিতে পারে এমনকি খাদ্যাভাবও।