নিঃসন্দেহে ভারতের জন্য এক কূটনৈতিক জয় ‘G-20 কৃতিত্ব ’, মন্তব্য কংগ্রেস সাংসদের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ‘G20 ফলাফল নিঃসন্দেহে ভারতের জন্য একটি কূটনৈতিক জয়। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর রবিবার G20 শীর্ষ সম্মেলনকে একটি বিশাল সাফল্য হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং বিদেশ মন্ত্রী এস জয় শঙ্কর এবং G-20 শেরপা অমিতাভ কান্তকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।রবিবার শেষ হওয়া জি 20 শীর্ষ সম্মেলন সম্পর্কে ভার্চুয়াল কথোপকথনের সময় কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ” উভয়েই অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আমি মনে করি যেখানে ক্রেডিট দেওয়ার জায়গা রয়েছে সেখানে ক্রেডিট দেওয়া উচিত”। তিনি আরও বলেন, G-20 তে যে সম্প্রীতির চিত্র দেখা গিয়েছে ছিল তা ভারতীয় রাজনীতিতে নেই’। পাশাপাশি বিরোধী দলের কোন সাংসদকে G-20 অনুষ্ঠান, সংবর্ধনা, নৈশভোজে আমন্ত্রণ না জানানোয় তিনি কেন্দ্রকে নিশানা করতেও ছাড়েন নি।
শশী থারুর বলেন “আমি G-20 শেরপা অমিতাভ কান্ত এবং বিদেশমন্ত্রী উভয়কেই অভিনন্দন জানাব, কারণ তারা যা করেছেন তা অবশ্যই ভারতের জন্য নিঃসন্দেহে ভাল কাজ। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর G20 সম্মেলনে জারি করা ‘দিল্লি ঘোষণা’-তে একটি ঐক্যমত্য গড়ে তোলার জন্য ভারতের G20 শেরপা অমিতাভ কান্তের প্রশংসা করেছেন। থারুর এটিকে একটি বিরাট কৃতিত্ব এবং G20-তে ভারতের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছেন। একটি সাক্ষাত্কারে কান্তের মন্তব্য ট্যাগ করার সময়, শশী থারুর রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি সম্পর্কে G20 দেশগুলির মধ্যে ঐকমত্য তৈরি করার জন্য তাঁর প্রশংসা করেছেন। এর আগে, কান্ত বলেছিলেন যে এই শীর্ষ সম্মেলনের G20 ঘোষণার বিষয়ে একটি ঐক্যমতে পৌঁছানোর জন্য, ভারতীয় কূটনীতিকদের ২০০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে একটানা আলোচনা করতে হয়েছিল। অন্তত ৩০০টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে হয়।
জি-২০ সম্মেলনের ঘোষণাপত্র নিয়ে ১৫টি খসড়া তৈরি করেছে এই অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসারের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের টিম। তাঁদের চেষ্টায় সদস্য দেশগুলিকে যুদ্ধ বিরোধী ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে রাজি করানো গিয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে টানা আলোচনা করে দিল্লি ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। দিল্লি ঘোষণাপত্র তৈরিতে অন্তত ১৫ বার খসড়া বদল করতে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অমিতাভ কান্ত। এর পরই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ‘শেরপা’র প্রশংসা করে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর লেখেন, ‘আপনি যে কাজ করেছেন তা এককথায় অসাধারণ। আমি মনে করি, আপনি আইএএস হওয়ায় ফরেন সার্ভিস একজন দক্ষ কূটনীতিককে হারিয়েছে’।
G-20 শীর্ষ সম্মেলনে প্রধান মত পার্থক্য কাটিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে একটি ঘোষণা গৃহীত হওয়ায় ভারত একটি বড় কূটনৈতিক অর্জন করেছে। এমনটাই মনে করছেন শশী থারুর। থারুর বলেন যে জি-২০ সভাপতিত্ব থাকাকালীন ভারত সরকার এমন কিছু করেছে যা আগের কোন দেশ করতে পারেনি। কেন্দ্র এটিকে একটি দেশব্যাপী কর্মসূচিতে পরিণত করেছে। ৫৮ টি শহরে ২০০টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমগ্র জনগণের কাছে G20-এর বার্তা নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব অবশ্যই সরকারের। ভারত গত বছরের ১ ডিসেম্বর G20-এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করে।