নিজেই বাঁচান নিজের জীবন, চিকিৎসকরা বলছেন উপায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দক্ষিণ কলকাতায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে মাত্রা ছাড়িয়ে। শুধুমাত্র দক্ষিণ কলকাতায় এখন করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লক্ষ। এমনিতেই রাজ্যের মধ্যে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কলকাতা । তার ওপর চিকিৎসকদের চিন্তার কারণ হয়ে পড়েছে দক্ষিণ কলকাতায় সংক্রমণের এই বৃদ্ধি। সদ্যনির্বাচন হয়ে গেছে এমনকি দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী, ভবানীপুর, বালিগঞ্জ ও কলকাতা বন্দর কেন্দ্রে। এখনও কলকাতার ২৯ এপ্রিল নির্বাচন হবে জোড়াসাঁকো, এন্টালি, শ্যামপুকুর, মানিকতলা প্রভৃতি বিধানসভায়।চিকিৎসকরা মনে করছেন এই পরিস্থিতি উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে বলেও।
এমনিতেই আমরা নির্বাচনের দিনগুলোতে দেখেছি, করোনা বিধি মেনে মানুষ মাস্ক পড়লেও কোনওভাবেই শারীরিক দূরত্ব মেনে দাঁড়াচ্ছেন না ভোটের লাইনে। এমনকি ভোট দেওয়ার সময় ভোটারদের যে গ্লাভস দেওয়া হচ্ছে সেটাও তারা যত্রতত্র ফেলছেন নির্দিষ্ট জায়গায় না ফেলে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে শুধু নিজের ভোট ভোটাররা যাতে নিজেরাই দিতে পারেন তার জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হলেও বাহিনীর তেমন তৎপরতা নজরে আসেনি ভোটাররা যাতে করোনা বিধি মেনে চলে সেই ব্যাপারেও।
চিকিৎসকরা বলছেন, এখানেই সমস্যাটা। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক শঙ্কর কর্মকারের বক্তব্য , “যারা ভোটের লাইনে দাঁড়াচ্ছেন তাদের মধ্যে কারা উপসর্গ যুক্ত বা উপসর্গ বিহীন রোগী আছেন কেউ সেটা জানেন না বা জানারও কথা নয়। তাই শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা খুবই জরুরি ভোটের লাইন । কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে না। এছাড়াও শুধু দক্ষিণ কলকাতা কেন মানুষের অবাধ চলাফেরা কলকাতার প্রায় সর্বত্রই। কেউ কোনও নিয়ম মানছেন না এমনকি দোকানে, বাজারে। মাস্ক পড়ছেন না এমন মানুষ এখন দেখা যাচ্ছে রাস্তা ঘটে। অথচ তারা এটা বুঝতে পারছেন না যে মাস্ক না পরা , শারীরিক দূরত্ব না মানার মানেই হচ্ছে আহ্বান জানানো করোনাকে।
তাই রাজ্যে যে হারে করোনার প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে তাতে আমরা সবসময় বলছি, যাদের প্রয়োজন নেই বাড়ির বাইরে বার হবেন না তারা। আর একান্তই বাইরে বার হতে হলে মাস্ক পরুন , ভিড় এড়িয়ে চলুন। শারীরিক দুরুত্ব বজায় রাখুন। কেননা প্রথমের থেকে অনেকাংশে বেশি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ক্ষমতা। তার ওপর যে হারে মানুষ করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে এক প্রকার সঙ্কটের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা । তাই যারা বাইরে বার হচ্ছেন, তারা মাস্ক পরুন, হাত পরিষ্কার রাখুন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন, ভিড় এড়িয়ে চলুন। মনে রাখুন জীবনটা আপনার। আপনারই তাকে বাঁচাতে হবে।”