নেই প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র , অবশেষে টোটোচালক নিজের জীবন শেষ করলেন চরম ‘SIR আতঙ্কে’
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আবারও ‘SIR আতঙ্কে’ চরম সিদ্ধান্ত ! এবার সুমন মজুমদার নামে এক টোটোচালক আতঙ্কের জেরে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গারুলিয়ায় । খবর পেয়ে অবশেষে এদিন গভীর রাতে ঘর থেকে সুমনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । পরে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ব্যারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতালে । এটিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় গারুলিয়ার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে।

পরিবারের দাবি, এসআইআরে নাম নথিভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় কয়েকদিন ধরেই মানসিক চিন্তায় ছিলেন টোটোচালক । তার জেরেই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক ঘটনা। এমনকি স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরও টোটোচালকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর নেপথ্যে এসআইআর-কেই দায়ী করেছেন । যদিও তা মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির । তাদের পালটা দাবি, আর্থিক সংকটের জেরে মানসিক অবসাদ থেকেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই যুবক । এই রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “যুবকের মৃত্যুর পিছনে সম্ভাব্য সমস্ত কারণই খতিয়ে দেখা হচ্ছে । তদন্ত চলছে । তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এ নিয়ে বিশদে কিছু বলা সম্ভব নয় ।” জানা গিয়েছে, বছর ৩২ -র সুমন গারুলিয়ার সোদলাট্যাঙ্ক রোড এলাকার বাসিন্দা । সেখানেই মাকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি । সুমন পেশায় একজন টোটোচালক । টোটো থেকেই কোনও রকমে সংসার চলত মা-ছেলের । তবে, ইদানিং টোটো থেকে সেভাবে আয় হচ্ছিল না যুবকের ।ফলে, আর্থিক সংকটের জেরে মানসিক চাপও বাড়ছিল তাঁর মধ্যে । এই পরিস্থিতিতে সুমনের ভাড়া বাড়িতে SIR ফর্ম দিয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয় বিএলও । সেই ফর্ম পাওয়ার পর থেকে তাঁর মানসিক চাপ আরও বেড়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ । এর পরেই গভীর রাতে চরম সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সূত্রের আরও খবর, এসআইআরের ফর্ম পূরণের জন্য পরিবারের কোনও নথিপত্র ছিল না । নথিপত্র না থাকায় ওই টোটোচালক তাঁর মাকে সবসময় বলতেন, “আমরা ভাড়াটিয়া, আমাদের হয়তো এদেশে আর রাখবে না । অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেবে ।” একথা শোনার পর যুবকের মা তাঁকে আশ্বস্ত করে বলতেন, “চিন্তা করিস না । দেখিস, কিছু না কিছু একটা জোগাড় হয়ে যাবে ।

