পরিচিত ব্রান্ডের জলের বোতল এর আড়ালে বাজার জুড়ে রমরম করে চলছে ভেজাল জলের কারবার
বেস্ট কলকাতা নিউজ : নামী কোম্পানির জলের বোতলের নাম ভাঙিয়ে রমরমিয়ে চলছে ভেজাল পানিয় জলের বোতল বিক্রির কারবার । ক্রেতার নিমেশের ভুলে পরিস্রুত পানিয় জলের পরিবর্তে শরীরে প্রবেশ করছে ভেজাল জল।বিসলেরির পরিস্রুত এক লিটার জলের দাম ২০ টাকা। ওই একি দামে একি রঙের মোড়কে শুধুমাত্র শব্দের দু একটা পরিবর্তন করে পানিয় জল বিক্রি করা হচ্ছে অবাধে । প্রশাসনের চোখের সামনেই ঘটে চলেছে এমন ঘটনা । সব দেখে ও শুনেও এক রকম নির্বিকার প্রশাসন । রানিহাটি-আমতা সড়কের দু ধারে, আমতা, জয়পুর সহ গ্রামীণ এলাকার প্রায় অধিকাংশ দোকানে অবাধে দেদার বিক্রি করা হচ্ছে ভেজাল জল । বোতল ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে বিক্রি করার জন্য তীব্র গরমে সেই জল গলায় ঢেলে শরীর ঠান্ডা করছে সাধারণ জনসাধারণ । একটু নজর দিলেই চোখে পড়ছে পরিচিত ব্রান্ডের জলের বোতলের ডুব্লিকেট। ততক্ষণে জল খাওয়া হয়ে যাওয়ায় কোনো অভিযোগ শুনতে চাইছে না দোকানদারও । অনেকে আবার নানা রকমের সাফাই দিচ্ছে।
সাধারণ মানুষের আরও অভিযোগ, চিটফান্ড কোম্পানি গুলো একসময় জলের কারখানা, হেচারি ব্যবসা দেখিয়ে মার্কেট থেকে টাকা তুলতো । সে সব কোম্পানি গুলি বর্তমানে লাটি গুটিয়ে পালিয়েছে। ওই সমস্ত কোম্পানির জল কলে এই ভেজাল জলের কারবার চালাচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীগণ । যেভাবে বোতলের ছিপি সিল করা হয় তাও সঠিক নয়। ছিপি সিল সমেত উঠে আসছে একটু টানলেই।
রানিহাটি, মানিকপির, দশ নম্বর প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে ছোট-বড় দোকানে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে ভেজাল জল। ব্যবসায়ীদের কথায়, অরজিনাল বিসলেরির জোগান কম। কমিশনও মেলে কম পরিমানে । কিন্তু অন্য জল বিক্রি করলে লাভ থাকে বেশি। ১লিটার জলের ১পেটি (১২পিস) কিনতে হয় ১২০টাকা দরে৷ বিক্রি হয় প্রতি লিটার বোতল ২০টাকা দরে। এক একটি জলের বোতল বিক্রিতে লাভ থাকে ১০ টাকার ও বেশি।