পাকিস্তান অত্যাধুনিক রাডার বসাল ভারতের সীমান্তের কাছে, ওঁত পাতছে চরম বিপদ!
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ভারতের চারিদিকে যেন ওঁত পেতে রয়েছে শত্রু। চীনা আর পাকিস্তানি শত্রুদের বিরুদ্ধে সীমান্তে সর্বদা প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর খবর। পাকিস্তান আমেরিকা থেকে আমদানি করা আধুনিক একটি টিপিএস-৭৭ রাডার রেখেছে ভারত সীমান্তের কাছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তান এই বিশেষ রাডার কেন ভারতীয় সীমান্তের কাছে রাখল? ভারতের বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, হিমশক্তি ইনগ্রেটেড ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেমের মোকাবিলার জন্যই টিপিএস-৭৭ এমআরআর রাডার পাক সীমান্তে মোতায়ন করা হয়েছে। এটি রয়েছে ভারত সীমান্ত থেকে প্রায় ৫৮ কিলোমিটার দূরে। যেখানে অত্যাধুনিক নজরদারি চালাবে পাক সেনা। এই বিশেষ রাডারটি পরিবহনযোগ্য, যা বসানো হয়েছে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের উমেরকোট জেলার চোর সেনানিবাসে।
বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, এর ফলে ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিছুটা হলেও চাপে পড়তে পারে। পাকিস্তান যে রাডার মোতায়েন করেছে, তা বিশ্বের শক্তিশালী ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম হিমশক্তি নিজের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনায়াসে স্যাটেলাইট লিংক, ওয়ারলেস কমিউনিকেশন থেকে শুরু করে রাডারকে জ্যাম করতে পারে। এটি প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার পর্যন্ত অনায়াসে নজরদারি চালাতে পারবে। উপরন্তু শনাক্ত করতে পারবে শত্রুর হেলিকপ্টার, ড্রোন থেকে শুরু করে বিমান। পাকিস্তান ২০২১ সালে আমেরিকা থেকে দুটি রাডার আমদানি করেছিল। যার একটি মোতায়ন করা হল ভারতের মোকাবিলায়। যদিও ভারতের কাছে রয়েছে শক্তিশালী অস্ত্র। ভারতের কাছে যে অস্ত্র রয়েছে তা শত্রুপক্ষের প্যাসিভ ট্র্যাকিং করতে পারে। অনায়াসে এই যন্ত্র শত্রুপক্ষের রেডিও তরঙ্গকে সনাক্তকরণ করলেও, বিন্দুমাত্র টের পাবে না শত্রুরা।
অপরদিকে চীনের উপর কড়া নজরদারি রাখতে ভারত আফ্রিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরো জোরদার করতে চলেছে। চলতি মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনী পুনেতে একটি বড় সম্মেলন এবং আফ্রিকা-ভারত ফিল্ড প্রশিক্ষণ অনুশীলনের আয়োজন করবে। ২১শে মার্চ থেকে শুরু হওয়া দশ দিনের AFINDEX মহড়ায় অংশ নেবে আফ্রিকার নাইজেরিয়া, তানজানিয়া, উগান্ডা, জামিয়া, ইথিওপিয়া, ঘানা, কেনিয়া সহ নয়টি দেশ। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের লখনৌতে ভারত এবং আফ্রিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। গত বছর গান্ধীনগরে ভারত ও আফ্রিকার প্রতিরক্ষা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। চীন যেভাবে কৌশলগত ভাবে আফ্রিকাতে অনুপ্রবেশ করছে, এবার ড্রাগন দেশের দাপট কমাতে পারে ভারত।