পাক গুপ্তচরদের আর্থিক সাহায্য চলত শহর কলকাতা থেকে ! ট্র্যাভেল এজেন্সির মালিককে জোর জিজ্ঞাসাবাদ এনআইএর দপ্তরে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সরাসরি পাকিস্তানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় টাকা পাঠানোর অভিযোগ উঠলো কলকাতার একটি ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে। এদিকে ওই ট্র্যাভেল এজেন্সির মালিককে তাদের নিউটাউনের অফিসে জিজ্ঞাসাবাদও করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি ৷ জানা গেছে ওই ব্যক্তির নাম মাসুদ আলম। কোথা থেকে টাকা এসেছিল, কেনই বা এই সমস্ত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হল, তাহলে কী ভারত তথা কলকাতায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ছবি পাকিস্তানে জঙ্গি গোষ্ঠীদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্যই এই আর্থিক লেনদেন হয়েছিল ? এই সকল অজানা তথ্যের বিষয়ে জানার জন্যই এদিন ট্র্যাভেল এজেন্সির মালিককে নিউটাউনে এনআইএ’র অফিসে ডেকে পাঠানো হয় ৷ মাসুদ ছাড়াও আরও দু’জনকে পৃথকভাবে এদিন জিজ্ঞাসাবাদও করে এনআইএ ৷
এদিকে এনআইএ সূত্রে খবর, কলকাতার দোকান থেকে টাকা পাঠানো হত সিআরপিএফ-এর এএসআই মতিরাম জাটের অ্যাকাউন্টে । কে এই মতিরাম জাট ? যাঁকে কিছুদিন আগেই পাকিস্তানি গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার করেছে এনআইএ ৷ এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি পাকিস্তানি গুপ্তচরদের রসদ জোগানো হত মহানগর থেকেই ?

উল্লেখ্য , দেশের মোট ১৫ টি জায়গায় একযোগে তল্লাশিও চালায় এনআইএ । তার মধ্যে অন্যতম ছিল শহর কলকাতা । মহানগরের আলিপুর, মোমিনপুর, পার্ক সার্কাস-সহ একাধিক জায়গায় চলে এনআইএ’র তল্লাশি অভিযান । তাতেই জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২২ জুন জঙ্গি হামলার আগে গত ২৫ মার্চও পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টে কলকাতা থেকে জমা হয় ২২ হাজার টাকা । শুধু একবার নয়, বেশ কয়েক দফায় ১৩৫০০ টাকা, ১৫০০০ টাকা ও ৫০০০ টাকা পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টে জমা করারও হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।