পাক হামলা কেড়েছে তাদের অভিভাবকদের, অবশেষে ২২ জন শিশুর পড়াশোনার সব দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পুঞ্চে পাকিস্তানি হামলায় অভিভাবকহীন শিশুদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে চলেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ৷ এমনটাই জানালেন জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা ৷ তাঁর কথায়, স্নাতক সম্পূর্ণ করা পর্যন্ত পাক হামলায় মা-বাবাকে হারানো ২২ টি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নেবেন রাহুল গান্ধি ৷
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ৷ হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয় ৷ হামলার জবাবে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারতের সামরিক বাহিনী ৷ এরপর পাল্টা ভারতীয় সেনা জওয়ানদের পোস্ট লক্ষ্য করে জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে হামলা শুরু করে পাকিস্তানি সেনা ৷ হামলা চালায় পুঞ্চেও ৷ পাক হামলায় প্রাণ হারান একাধিক স্থানীয় ৷ অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে বহু শিশু ৷ বড় প্রশ্নের মুখে সেই সমস্ত শিশুদের ভবিষ্যত ৷

অভিভাবকহীন শিশুগুলির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল ৷ তারিক হামিদ জানান, বুধবার প্রথম দফায় আর্থিক সাহায্য় প্রদানের কাজ শুরু হবে ৷ সোমবারের সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “পাকিস্তানি হামলায় বাবা-মায়ের একজনকে হারানো বা দু’জনকেই হারানো এমন ২২ টি শিশুর শিক্ষার সম্পূর্ণ খরচ বহন করবেন রাহুল গান্ধি ৷ বুধবার প্রথম দফায় আর্থিক সাহায্য প্রদানের কাজ শুরু হয়ে যাবে ৷ শিশুরা যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সেই কারণে এমন সিদ্ধান্ত ৷ স্নাতক না-হওয়া পর্যন্ত এই আর্থিক সাহায্য় দেওয়া হবে ৷”
উল্লেখ্য ,গত ২৪ মে পুঞ্চ সফরে যান রাহুল গান্ধি ৷ সফরকালে দলের নেতাদের এই বিষয়ে একটি তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন ৷ এরপর সরকারি তথ্য ঘেটে শিশুদের সেই তালিকা তৈরি করা হয় দলের তরফে ৷ পুঞ্চে সফরের সময় স্থানীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী৷ দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তাদের সঙ্গে ৷ পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করতে নিষেধ করেন ৷ তিনি বলেন, “ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছ তোমরা ৷ চিন্তার কোনও কারণ নেই ৷ সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে ৷ তবে, এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে ৷”
মূলত অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পুঞ্চ জেলায় পাল্টা হামলায় চালায় পাকিস্তান ৷ জেলার বিভিন্ন বসতি এলাকাগুলিতে একের পর এক বোমা বর্ষণ করে পাক সেনা ৷ হামলায় অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয় ৷ আহত হন একাধিক ৷ পাক হামলায় ভেঙে পড়ে স্থানীয়দের বাড়ি ঘর ৷ গত ১৬ মে ন্যাশনাল কনফারেন্সের বিধায়ক আজাজ জান জানান, বেশিরভাগ গ্রামে ভারী পাল্লার বোমা ছোড়া হয়েছে ৷ অতীতের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এমন বাড়িগুলিও ভেঙে পড়ে হামলার তীব্রতার কারণে ৷