পায়ে বাঁধা ক্যামেরা চিপ! ওড়িশায় উদ্ধার হল রহস্যজনক পায়রা, কারা পাঠাল তা নিয়ে শুরু জল্পনা
পায়ে বাঁধা রয়েছে ছোট্ট একটি ক্যামেরা আর চিপ। যা চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতীয় উপকূলে। এটি একটি পায়রা, যাকে কেন্দ্র করে উড়িশা সমুদ্রে উপকূলে একের পর এক রহস্যের জট বাঁধছে। গুপ্তচর পায়রা বলতেই মনের মধ্যে ভেসে ওঠে শান্তির দূত সম্পর্কিত নানান ধারণা। কিন্তু পায়রা যে গুপ্তচর বৃত্তির কাজ করতে পারে তার প্রমাণ বহুবার ইতিহাসে পাওয়া গিয়েছে। সেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই পায়রাকে গুপ্তচরবৃত্তির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজে লাগানো হত। পুলিশের সন্দেহ অনুযায়ী, পাখিটিকে গুপ্তচর বৃত্তির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। পশু চিকিৎসকরা পাখিটিকে পরীক্ষা করবেন। পাখিটির পায়ে থাকার সংযুক্ত ডিভাইস গুলি পরীক্ষা করার জন্য রাজ্য ফরেনসিক সাইন্স ল্যাবরেটরির সাহায্য নেওয়া হবে। দেখে মনে হচ্ছে, ওই ডিভাইসগুলি একটি ক্যামেরা এবং একটি মাইক্রোচিপ। এমনটাই মনে করেছেন জগতসিংহপুরের পুলিশ সুপার। যদি সত্যি একটি গুপ্তচর পায়রা হয়ে থাকে তবে এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়। বছর দুই আগেও কাশ্মীরে হানা দিয়েছিল পাক গুপ্তচর পায়রা। যার পায়ে বাঁধা ছিল রহস্যময় রিং। ভারতে চরবৃত্তি করার জন্য পাকিস্তানের তরফ থেকে পায়রা বাহিনী নামানো হয়। পাকিস্তান থেকে উড়ে আসা সেই পায়রাটি ধরা পড়েছিল জম্মু কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমানা সংলগ্ন মান্যারি গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে। পায়রার পায়ে থাকা রিংয়ের উপর কিছু সংখ্যা খোদাই করা ছিল। পায়রার পায়ে এইভাবে জরুরি বা গোপন বার্তা বেঁধে তথ্য আদান-প্রদানের রীতি একেবারেই নতুন নয়। সেই প্রাচীন যুগ থেকেই এই কাজ করা হচ্ছে। বিশ্বযুদ্ধের সময়ও সংবাদবাহক হিসেবে পায়রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।