পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন চালু হল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু হল করোনা আতঙ্ককে একরকম বুড়ো আঙুল দেখিয়ে। প্রাথমিকভাবে ৫০ টি কন্টেইনার নিয়ে একটি ট্রেন বাংলাদেশে দিকে যায় বনগাঁর পেট্রাপোল বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে। আরো জানা গিয়েছে, এই ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল স্বাধীনতার পর থেকেই। সাম্প্রতিক এই ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দুই দেশের রেলওয়ের যৌথ ব্যবস্থাপনায়। বাংলাদেশ রেলওয়ে ২ দেশের মধ্যে পার্সেল ট্রেন পরিষেবা শুরু করার অনুমতি দেয় পণ্য পরিবহনের এই বিষয়টির বিরাট পরিমাণ সাফল্য দেখে। আর এই পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছে এর মধ্যেই।
শুল্ক দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মূলত টেক্সটাইল ও কসমেটিকসএর মাল রয়েছে এই কন্টেইনার গুলিতে। আমদানি কারি সংস্থা এও মনে করছেন ঝামেলা ও সময় খুবই কম লাগবে এই পথে। এছাড়াও মনে করা হচ্ছে ভারত বাংলাদেশ মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলেও। এদিন সকালে ট্রেনটি এসে পৌঁছায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্টাপোল রেলস্টেশনে। ট্রেনটি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সেখানে কাস্টম ক্লিয়ারেন্সের পরেই।
সড়কপথে পরিবহণের জন্য যে টাকা খরচ হত ,এমনকী সরবরাহ করা যেত না একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ পণ্যও। স্বাভাবিকভাবে খরচও সমান হারে বাড়ত প্রত্যেকবার পরিবহণের জন্য। লকডাউনের সময় গুন্টুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার চাষীরাও বহু পণ্য সড়কপথে বাংলাদেশে পাঠাতে পারেনি। যদিও সুগুলোর ব্যাপক পরিমানে চাহিদা ছিল। এই পরিস্থিতিতে রেল কর্মী ও আধিকারিকরা রেল পথে পণ্য পাঠানোর জন্য কথা বলেন কৃষক প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সাথে। যাতে খুশি ব্যবসায়ী থেকে কৃষক এমনকি দুই দেশের হাই কমিশনও। আরও জানা গিয়েছে, থেকে এই পন্য বোঝাই করা হয়েছে কলকাতার মাঝেরহাট স্টেশন থেকে। এই পণ্য নামানো হবে বেনাপোলে স্টেশনে। আগামী দিনে আমদানিকারী সংস্থার আরও চিন্তাভাবনা রয়েছে ট্রেন সংখ্যা ও বগি সংখ্যা বাড়িয়ে বাংলাদেশের যশোর-খুলনা পর্যন্ত এই পণ্যবাহী ট্রেনকে নিয়ে যাওয়ার।
এবিষয়ে কাস্টমসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার মিহির কুমার চন্দ্র বলেন, প্রচেষ্টা দীর্ঘদিনের, আজ প্রাথমিকভাবে একটি ট্রেন বাংলাদেশে গেল। এতে করে যেমন বাণিজ্যিক সুবিধা হবে তেমনি আরো সুদৃঢ় হবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কও।