প্রধান উদ্দেশ্য মোদীকে হটানোই,জোটসঙ্গীরা অবশেষে তৃণমূলের পথেই , আরও কোনঠাসা হল কংগ্রেস!
বেস্ট কলকাতা নিউজ :মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের ডাকা জোটসঙ্গীর বৈঠকে থাকবেন না বলেই। এবার সেই দলে ফের নাম লেখালেন সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, আম আদমি পার্টি, এমন কি শিবসেনাও৷ ফলে কংগ্রেসের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক কোনঠাসা অবস্থা। অন্যদিকে ক্রমশ চাপের মধ্যে পড়েছে কংগ্রেস দলও। কারন শিবসেনা আবার কংগ্রেসেরই জোট সঙ্গী হয়ে সরকার চালাচ্ছে মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে। আর তাতেই শুরু হয়েছে জোড় রাজনৈতিক জল্পনা।
তবে এ দিন কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকের পর দিল্লির রাজনীতিতে জোর প্রশ্ন, তবে কি এবার তৃণমূলের দেখানো পথেই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করল অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও? তবে তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেস অবশেষে যে বৈঠক থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিরোধীদের রণকৌশল ঠিক করার লক্ষ্য মাত্রা নিয়েছিল, আর সেই বৈঠকই চরম অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াল তাদের কাছে৷
এমনকি কংগ্রেস বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে অতীতেও বৈঠক ডেকেছে সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে৷ সেই বৈঠকে হাজিরও থেকেছে এমনকি তৃণমূলও৷ কিন্তু কংগ্রেস- তৃণমূল সম্পর্কে চিড় ধরেছে গত কয়েকমাসে৷ সম্প্রতি দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরে তাঁর স্পষ্টভাবে প্রমান পাওয়া গিয়েছে। এদিকে বিজেপি বিরোধিতায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে তৃণমূলও কংগ্রেসের নেতৃত্বে একজোট হওয়ার প্রশ্নে প্রকাশ্যেই আপত্তি করেছে৷ এ দিনের বৈঠকে না যাওয়া নিয়ে তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূল এখন নিজেই যথেষ্ট শক্তিশালী বিজেপি-র বিরোধিতায়৷
এক্ষেত্রে তৃণমূল সাংসদদের পাল্টা প্রশ্ন, ‘আমরা তো কংগ্রেসকে কোনও সময় ডাকি না নিজেদের অফিসের বৈঠকে৷ তাহলে ওরা বৈঠক ডাকলেই আমাদের কেন যেতে হবে৷’ অতীতে কেন তাহলে তাঁরা কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল সাংসদদের যুক্তি, ‘অতীতে গিয়েছি বলে যখনই ডাকবে যেতে হবে তার কোনও মানে নেই৷ এটা তো নিয়ম হতে পারে না৷’ তবে কংগ্রেসের এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরও দশটি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও৷ এই বৈঠকের মধ্যমণি ছিলেন সনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধি৷ যে বিরোধী দলগুলি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন তার মধ্যে ছিল এনসিপি, আরজেডি, সিপিএম, ডিএমকে-র মতো দলগুলিও৷