প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের ছেলের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল যোগী-রাজ্যে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ডাক্তার সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলেন জরুরি বিভাগে শয্যা নেই। আর তার জেরে সোমবার, যোগী-রাজ্যে ছেলেকে হারালেন বিজেপির এক প্রাক্তন সাংসদ। ছেলের মৃত্যুর পর, তার দেহ নিয়ে জরুরি বিভাগেই ধরনায় বসেন ভৈরঁ প্রসাদ মিশ্র। তাঁর দাবি, কোন বেড ছিল না এবং জরুর বিভাগের মেডিকেল অফিসার কোনও সাহায্য করেননি। যতক্ষণ না সরকার ওই চিকিৎসককে বরখাস্ত করে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তিনি সেখান থেকে নড়বেন না বলে জানিয়েছিলেন। অবশেষে, ওই চিকিৎসককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেঘটনার তদন্তের আশ্বাস দেওয়ার পর ধরনা থেকে উঠে যান প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ।

এক সময় সংসদে, উত্তর প্রদেশের বান্দা এলাকার প্রতিনিধি ছিলেন ভৈরঁ প্রসাদ। তাঁর ছেলে, ৪১ বছরের প্রকাশ মিশ্র, কিডনির অসুস্থতায় ভুগছিলেন। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ তাঁকে লখনউয়ের এসজিপিজিআই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু, চিকিৎসক জানিয়ে দেন ভর্তি করার উপায় নেই। এর কিছু পরই প্রকাশ মিশ্রের মৃত্যু হয়। এরপরই জরুরি বিভাগের ঠিক বাইরে ছেলের দেহ নিয়ে ধরনায় বসেছিলেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি। কিন্তু আমি সেখানে বসার পর, আরও লোক আমার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। আমার পরে, প্রায় ২০-২৫ জন চিকিৎসা করাতে এসেছে। আমি যখন প্রতিবাদ করতে বসেছিলাম, তখন তারা সবাই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তার শাস্তি হওয়া উচিত।”

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। বিষয়টির তদন্তে তিন সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত চিকিৎসককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। হাসপাতালের প্রধান ডা. আর কে ধীমান বলেছেন, “ডাক্তার তাকে আইসিইউতে নিয়ে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু সেখানে কোনও বেড পাওয়া যায়নি। কেন বলা হলো জানি না। আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডাক্তারকে আপাতত বরখাস্ত করা হয়েছে।”

সমাজবাদী পার্টির নেতা এই ঘটনার প্রসঙ্গে রাজ্যের বিজেপি সরকারকেই নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, “এটা হাসপাতালের দোষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দোষ। হাসপাতালের জন্য বাজেট কেন বাড়ানো হচ্ছে না?” উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য অবশ্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সন্তান হারা বিজেপি নেতার বাড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *