প্রেমিকার আপত্তি বিয়ের আগে যৌন সম্পর্কে , রাস্তায় যুবকের শারীরিক নিগ্রহ যুবতীকে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : একই অফিসে চাকরি করতে-করতে পরস্পরের প্রেমে পড়েন। বিয়ের কথা উঠতেই কিছু সমস্যার কথা শোনায় যুবক। তবে এখনই বিয়ে করতে না পারলেও শারীরিক সম্পর্কে তো বাধা নেই! এমনই দাবি জানিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চেয়েছিলেন ২৮ বছরের যুবকটি। কিন্তু, প্রেমিকা রাজি হননি। আর তখনই প্রেমিকের মারধরের শিকার হতে হল ২৮ বছরের যুবতীকে। একেবারে প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়, এমনকি গলা টিপে খুনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাণিজ্যনগরী, মুম্বইয়ে । তবে প্রেমের এহেন অধিকার ফলিয়ে রেহাই পায়নি রোমিও। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ধৃত যুবকের নাম আকাশ মুখোপাধ্য়ায়। মুম্বইয়ের উপকণ্ঠে কল্যাণ এলাকার বাসিন্দা আকাশ স্থানীয় এক বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। সেই সংস্থারই এক মহিলা কর্মীর সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক হয় আকাশের। এরপর বুধবার বান্দ্রা শহরতলিতে প্রেমিকার সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়ে আকাশ তাঁকে অন্তরঙ্গ হওয়ার প্রস্তাব দেন। যুবতী বাধা দেওয়ায় আকাশ তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেন এবং খুনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। বান্দ্রা থানার পুলিশ অবশেষে আকাশকে গ্রেফতার করে যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে।

এদিকে পুলিশের কাছে যুবতী জানিয়েছেন, বুধবার তিনি আকাশের সঙ্গে ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, গেট ওয়ে অফ ইন্ডিয়া সহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সন্ধ্যায় ফিরছিলেন। সেই সময়ই আকাশ জানান, এখনই বিয়ে করা সম্ভব নয় তাঁকে। তবে এখনই বিয়ে করতে না পারলেও আকাশ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চান। যুবতী বাধা দেওয়ায় আকাশ মাঝরাস্তাতেই তাঁর গলা টিপে ধরেন এবং পাথরে মাথা ঠুকে দেন। অভিযোগ তারপর নর্দমায় ফেলে তাঁকে ডোবানোর চেষ্টা করেন বলেও। তখনই যুবতী আর্ত চিৎকার শুরু করেন।

যুবতীর আর্ত চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন এবং বান্দ্রা থানায় খবর দেন। তারপর পুলিশ আকাশকে গ্রেফতার করে ঘটনাস্থলে এসেএবং ওই যুবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রেমিকের মারধরে যুবতীর গুরুতর আঘাত লাগে । তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে আকাশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে বলে বান্দ্রা থানার পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *