সপ্তাহে ২ দিন লকডাউনে কি রোখা সম্ভব গোষ্ঠী সংক্রমণ ? কী বলছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা জেনে নিন

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাজ্য সরকার সপ্তাহে দু’দিন সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে। কিন্তু সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ খুঁজে পাচ্ছেন না এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাই। তাঁদের আরও প্রশ্ন, এভাবে কি কমিয়ে দেওয়া যাবে সংক্রমণের হার ? না কি এটা শুধু একটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ? তাঁদের মতে, এটা একটা প্রহসন।অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এই ঘোষণা ।

রাজ্যে সপ্তাহে দু’দিন সম্পূর্ণ লকডাউন চলবে জুলাই এর শেষ পর্যন্ত। কোরোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ কি এভাবে আটকানো সম্ভব ? সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গল-এর সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক মানস গুমটা এও বলেন, ” রাজ‍্য সরকার স্বীকার করে নিয়েছে কোরোনার গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা। যা যা এর জন্য করণীয়, আমরা আশা করব যেন তার মধ্যে আর কোনও লুকোচুরি বা অন্য কিছু না থাকে। গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য এমনকি নির্দেশিকা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ICMR (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ)-এরও। তবে আমরা এখনও পাইনি সপ্তাহে দু’দিনে লকডাউনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।

সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম-এর সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, “এটা একটা প্রহসন । যা মনে করা, তাই বলা, এটা তেমন ধরনের পরিকল্পনা একট। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, প্রথম থেকে নেওয়া হল না কোনও রকমের পরামর্শ। পরামর্শ নেওয়া হল না এমনকি বিভিন্ন কমিটিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের সংগঠনগুলিরও। সরকার একই কাজ করে যাচ্ছে প্রথম থেকেই। এখনও ছিনিমিনি খেলছে মানুষের জীবন নিয়েও।কোটি কোটি মানুষ সংক্রমিত হবে গোষ্ঠী সংক্রমণের জেরে।এমনকি তৈরি করা হয়নি এর জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামোও। কোনও পরিকল্পনাও নেই পরিকাঠামো তৈরি করারও। সম্পূর্ণ লকডাউন সপ্তাহে দু’দিন, এটা সম্পূর্ণ ভাবে লোক দেখানো। এই লকডাউন কোন বিজ্ঞানে বলেছে বা কোথায় কোন জনস্বাস্থ‍্য বিশেষজ্ঞ বলেছেন,এটা তো আমরা জানি না ।”

সজলবাবু আরও বলেন, “বিজ্ঞানটাকে প্রশাসন হাতে নিয়েছে। এদিকে মানুষেরও মৃত্যু হচ্ছে। যদি প্রশাসনিক স্তরে এভাবে সব কিছু সমাধানের চেষ্টা করা হয়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তা হলে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে সমগ্র পরিস্থিতি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বৈঠকে এই বিষয়ে আমরা জানিয়েছিলাম এক মাস আগেই। আবেদনও করেছিলাম অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ারও। অথচ সরকার চিন্তাভাবনা করল এক মাস পর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *