বনবিবি মাতার আরাধনা অপার ভক্তি সহযোগে ! আপনাকে অবাক করবে সুন্দরবনের বিশেষ পুজোর নেপথ্যের এই কাহিনী !
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মূলত আজও জড়িয়ে বহু প্রাচীন এই গ্রামীণ মেলা। দশকের পর দশক ধরে সুন্দরবন অঞ্চলে বনবিবি মায়ের পুজো উপলক্ষে এই মেলা চলে আসছে। এবারও কুলতলির নগেনাবাদে মাকড়ি নদীর তীরে এই মেলার আয়োজন ঘিরে উপকূলের বাসিন্দাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। দূর-দূরান্ত থেকে নৌকায় চেপে কাতারে কাতারে মানুষ মেলায় ভিড় জমিয়েছেন।
কথিত আছে, সুন্দবরনের গভীর জঙ্গলে মধু ও খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরতে যাওয়ার আগে বনবিবি মাতার পুজো দিলে বাঘের আক্রমণ থেকে পরিত্রাণ মেলে। তবে এটি মিথ বলেই মত বুদ্ধিজীবীদের একটি বড় অংশের। যদিও এতল্লাটের বাসিন্দাদের এক্ষেত্রে বিশ্বাস খুবই দৃঢ়। কুলতলির মইপীঠ কোস্টাল থানার নগেনাবাদের মাকড়ি নদীর তীরে বহু প্রাচীন বনবিবি মায়ের পুজো উপলক্ষে মেলার আয়োজন হয়েছিল। রাজ্যের উপকূলবর্তী এই এলাকার একাধিক দ্বীপের বাসিন্দারা এই মেলায় ভিড় জমিয়েছেন। বিশেষত যাঁরা সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে মধু সংগ্রহ ও কাঁকড়া ধরতে যান তাঁরা সবাই এই বনবিবি মায়ের পুজোয় যোগদান করেছেন।
এছাড়াও কুলতলি বিধানসভা এলাকার অন্যান্য জায়গা থেকেও বহু মানুষ এই বনবিবির মায়ের পুজো উপলক্ষে মাকড়ি নদীর তিরে একত্রিত হন। স্থানীয়দের অনেকে এই পুজোকে জঙ্গল পুজো ও মেলাকে জঙ্গল মেলা বলে চেনেন। সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপ থেকে নৌকায় চেপে রীতিমতো ঝুকি নিয়ে নদী পারাপার করতে দেখা গিয়েছে ভক্তদের। মাতলা শ্রীফলা ও মাকড়ি নদীর সংযোগস্থলে এই মেলা উপলক্ষে এবছর রেকর্ড ভিড় হয়েছে।
এদিকে পুলিশের তরফেও মেলায় আসা ভক্তদের সুবিধার্থে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। একদিকে নিরাপত্তার বন্দোবস্তের পাশাপাশি জলপথেও কড়া নজরদারি রেখেছে প্রশাসন। নৌকায় অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণে বারবার সতর্ক করেছেন পুলিশকর্মীরা।