বহুবিবাহ বন্ধে আইন আনছে দেশের এই রাজ্য, না-মানলে শাস্তি হবে ৭ বছরের কারাদণ্ড!
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বহুবিবাহ বন্ধের জন্য কড়া পদক্ষেপের ভাবনায় অসমের বিজেপি সরকার ৷ শীঘ্রই এই প্রথার বিরুদ্ধে আইন আনতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ৷ আইন অমান্য করলে ৭ বছরের জেলও হতে পারে ৷ নভেম্বর মাসে অসম বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে ৷ সেই সময় বহুবিবাহের বিরুদ্ধে একটি বিল বিধানসভায় পেশ করা হবে বলে জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, “বহুবিবাহের বিরুদ্ধে অসমে আমরা শীঘ্রই একটি আইন আনতে চলেছি ৷ আগামী 25 নভেম্বর বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন বিলটি পেশ করা হবে ৷ যদি কোনও ব্যক্তি প্রথম স্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন, তাহলে তাকে সাত বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হবে ৷”

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, আর্থিক উন্নতির পাশাপাশি মহিলাদের সম্মান রক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর অসম সরকার ৷ এর জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হয়েছে সরকারের তরফে ৷ এবার সেই বিষয়ে আরও একধাপ এগিয়ে বহুবিবাহের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে অসম সরকার ৷ বিলের বিধানগুলির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী আইনতভাবে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ না-হওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে না ৷ আইন না-মানলে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন অভিযুক্ত ব্যক্তি ৷ এক্ষেত্রে ৭ বছর কিংবা তার থেকেও বেশি সময়ের জন্য ওই ব্যক্তির জেল হতে পারে বলে জানান হিমন্ত বিশ্বশর্মা ৷
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যে লিঙ্গ বৈষম্য দূর, নারী অধিকার রক্ষা এবং বিবাহের পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে বাল্যবিবাহ রোধও প্রস্তাবিত এই আইনের একটি অংশ বলে জানান তিনি ৷ বৈষম্য দূর করতে এবং ন্যায়বিচারের জন্য ব্যক্তিগত আইন বা সামাজিক রীতিগুলির সঙ্গে সাংবিধানিক নীতির মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে চাইছে অসম সরকার ৷ তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী ৷ মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই বিলটি সংসদে উত্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে ৷ উল্লেখ্য, বহুবিবাহ প্রথা বন্ধ করতে দেশের কয়েকটি রাজ্যে কঠোর আইন আনা হয়েছে ৷ বিধানসভায় পাস হয়ে গেলে সেই তালিকায় জুড়বে অসমের নামও ৷ অসমের বিজেপি সরকারের দাবি, রাজ্যে সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রতিষ্ঠার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ৷

