বাংলাদেশে ওষুধ পাচারের চেষ্টা আটার প্যাকেটে করে , গ্রেপ্তার ১
বেস্ট কলকাতা নিউজ : শুধুমাত্র নেশার কাফ সিরাপই নয়। বাংলাদেশে এমনকি পাচার হয়ে যাচ্ছে ওষুধও ! চোরাই পথে জীবনদায়ী সব ইনজেকশন এবং ট্যাবলেট পাঠানো হচ্ছে সে দেশে। এমন কোনো ধরণের পাচারেরে ধারণা আগে থেকে ছিল না গোয়েন্দাদের কাছে। গতকালই প্রথমবার প্রচুর ওষুধ এবং ইনজেকশন উদ্ধার হল বাংলাদেশে পাচারের পথে। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। এক ক্যারিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই পাচারের ঘটনায়। সন্ধান পাওয়া গেছে এমনকি স্মাগলিং চক্রেরও। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ স্মাগলারদের খোঁজ শুরু করেছে।
উপর থেকে দেখলে মনে হবে কোনো আটার প্যাকেট। কিন্তু জীবনদায়ী সব ওষুধ ছিল তার ভেতরেই। যার বাজার দর প্রায় আকাশছোঁয়া বাংলাদেশে। তেমনই সব ওষুধ পাচার করা হচ্ছিল গতকাল। গোয়েন্দাদের কাছে আগাম খবর ছিল স্মাগলিং হবে ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স তৎপর ছিল সেই সূত্র ধরেই। দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘোজাডাঙা ICP ব্রিজের উপর জওয়ানেরা থামতে বলে একটি সন্দেহজনক স্কুটিকে। কিন্তু ওই স্কুটির চালক পালানোর চেষ্টা করে না থেমেই। আরও তীব্র হয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সন্দেহ। জওয়ানেরা স্কুটির আরোহীকে ধরে ফেলে বিশেষ তৎপরতার সঙ্গে। স্কুটির সিটের নিচে পাওয়া যায় আটার প্যাকেট।জীবন দায়ী সব ওষুধ বেরিয়ে পরে সেটি খোলা মাত্রই। বসিরহাটের মাঝেরপাড়ার আনিসুর গাজি সেগুলি পাচারের চেষ্টা করছিল। বয়স ২৫ বছর। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে শুধুমাত্র একজন ক্যারিয়ার। দুই স্মাগলার তাকে এই কাজ দিয়েছিল।
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স আরও জানতে পেরেছে এই দু’জনের স্মাগলার এর নাম গোলাম গাজি এবং দেবাশিস সরকার। গোলামের বাড়ি বসিরহাট থানা এলাকার আখারপুরে। দেবাশিস মাঝেপাড়ার বাসিন্দা। ধৃত আনিসুর এটাও জানিয়েছে, তার সঙ্গে কথা হয়েছিল ওই ওষুধ ঘোজাডাঙা ICP ব্রিজ পার করে দেওয়ার জন্য। তাহলেই সে ৩০০০ টাকা পাবে। ব্রিজের ওপারেই থাকত দেবাশিস। সেই ওই ওষুধ পাচার করত বাংলাদেশে। ধৃতকে ইতিমধ্যেই সীমান্তরক্ষী বাহিনী তুলে দিয়েছে বসিরহাট থানার হাতে । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।