বাংলায় নাটক তৃণমূল বিরোধিতার , অধীর ও বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের অভিষেককে পেছনে দাঁড়িয়ে সমর্থন সোনিয়ার নির্দেশে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ইন্ডিয়া’-র জের। মণিপুর কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক পাশে দাঁড়িয়ে ধরনা দিলেন রাজ্যে তাঁর দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য । এখানেই শেষ নয়। জোটধর্ম মেনে মালদহের ঘটনার নিন্দা করে বিজেপি সাংসদদের ধরনার প্রসঙ্গ উঠতে অধীর-বিকাশ দু’জনই জানালেন মণিপুরে যা ঘটেছে তা অনন্য। তার সঙ্গে অন্য কোনও কিছুরই তুলনা হয় নাবাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাংসদরা সরব হয়েছেন মণিপুরের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে। তাঁদের বিক্ষোভে তিনদিনই অধিবেশন চালাতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্র। গত শুক্রবারই ঘোষণা করা হয়, সোমবার সকালে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে নিজেদের দাবির সপক্ষে বিক্ষোভ অবস্থান করবেন ‘ইন্ডিয়া’ সাংসদরা।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির আগেই হঠাত্ করে গান্ধীমূর্তিতে ধরনা দেওয়া শুরু করেন বিজেপি সাংসদরা। যেখানে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান ও বিহারে মহিলাদের উপর হওয়া কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করে বিক্ষোভ দেখান। এই প্রসঙ্গেই রাজ্য স্তরের বৈরিতা সরিয়ে রেখে কৌশলী অবস্থান নিতে দেখা যায় বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিরোধী পক্ষ কংগ্রেস ও সিপিএম-এর সাংসদকে।তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিকে ‘হাইজ্যাক’ করতে আগে থেকে গান্ধীমূর্তিতে জমায়েত করতে পারেন বিজেপি সাংসদরা?
মালদহের ঘটনা প্রসঙ্গে লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর বক্তব্য, ‘যার যা খুশি বলতে পারে, কিন্তু কোনওভাবেই মণিপুরের সঙ্গে অন্য কোনও কিছুর তুলনা হতে পারে না।’ একমাত্র বঙ্গ সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘মণিপুরের বিজেপি শাসনে ধর্মীয় বিভাজন ও অনুপ্রবেশের নাম করে দুটো গোষ্ঠীর মধ্যে মুখোমুখি লড়াই লাগিয়েছে। অন্য অনেক জায়গায় হয়তো মহিলাদের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে। কিন্তু তার সঙ্গে মণিপুরের তুলনা করলে ভুল হবে। মণিপুর একটা অনন্য ঘটনা। এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বা অন্য জায়গার ঘটনার তুলনা করাটাই বোকামি।’
বেঙ্গালুরুর বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরির একই ছাদের নিচে আসার পর থেকে রাজ্যে সিপিএম-এর নিচুতলায় অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তা চাপা দিতে সর্বভারতীয় ও রাজ্য – দুই স্তরের নেতারাই বারবার বিবৃতি দিচ্ছেন-কেন্দ্রে যেভাবে বিজেপি, রাজ্যে সেভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সমঝোতা নয়। যদিও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। একই ছবি দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের অন্দরেও।