বাংলার বাড়ি প্রকল্পে চরম গড়িমসির অভিযোগ উপভোক্তাদের বিরুদ্ধে,নবান্নের বৈঠক থেকে কড়া নির্দেশ রাজ্যের মুখ্য সচিবের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পঞ্চায়েত দফতরের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব। শুধুমাত্র ডেটা তৈরি করলেই হবে না। টাকা পেয়েও যাঁরা বাড়ি তৈরি করছেন না, সেই সব উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উৎসাহ দিতে হবে ৷ কারণ দেখা গিয়েছে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে টাকা পেয়েও নির্মাণ করেননি হাজার হাজার উপভোক্তা ৷ সাম্প্রতিক জেলাভিত্তিক বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে একটি তথ্য প্রকাশে এসেছে ৷ যেখানে দেখা গিয়েছে এই প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু হলেও বেশ কয়েকটি জেলার অগ্রগতি আশানুরূপ নয় ৷ এই অবস্থায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন ৷ এই বৈঠকে উঠে এসেছে যে, মোট উপভোক্তাদের ৭২ শতাংশই প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর তাঁদের বাড়ি লিন্টন স্তরের পর্যন্ত নির্মাণ করেছেন ৷ তবে, কিছু জেলায় নির্মাণের গতি অত্যন্ত ধীর ৷

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যসচিব পন্থ রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন, কেন নির্মাণে দেরি হচ্ছে সেই কারণগুলি চিহ্নিত করতে এবং উপভোক্তাদের উৎসাহিত করতে । তিনি আরও নির্দেশ দেন, ময়দানে নেমে আধিকারিকদের আরও সক্রিয় হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে ৷ এক্ষেত্রে যে সমস্ত জেলায় কাজ পিছিয়ে আছে, তাদের দ্রুত কাজ শুরু করতে সাহায্য করতে হবে
পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১২ লক্ষ উপভোক্তার মধ্যে 8,৬৫১৬৪জন তাঁদের বাড়ি লিন্টন স্তরের পর্যন্ত নির্মাণ করেছেন ৷ তবে, ১২৪৪২ জন তাঁদের নির্মাণ সামগ্রী সংগ্রহও করেননি এবং এখনও বাড়ি নির্মাণ শুরু করেননি ৷ যা মোট উপভোক্তাদের ১.০৪শতাংশ। যা নিয়ে এদিন একরকম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যসচিব। তবে কেন তারা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করছেন না, তা খোঁজখবর করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তাদের যাতে উৎসাহিত করা যায় সেই জন্য ইতিমধ্যেই যারা প্রথম পর্যায়ে লিন্টন পর্যন্ত কাজ করে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়েছে, তাঁদের সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ৷
উল্লেখ্য ,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা বরাদ্দের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছেন। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেতে হলে প্রথমে বাড়ি লিন্টন স্তরের পর্যন্ত নির্মিত হতে হবে ৷ এরপরই যে সমস্ত উপভোক্তারা এখনও পর্যন্ত আশানুরূপ কাজ করেননি, তাঁদের নিয়েই পর্যালোচনা বৈঠক করলেন এ রাজ্যের মুখ্যসচিব ৷