বাঙালির অতি প্রিয় বাসন্তী পোলাও রেসিপি
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পোলাও ভোজন রসিক বাঙালীর অত্যন্ত প্রিয় খাবার হিসেবেই বেশি পরিচিত , এমনকি পোলাও ছাড়া চলে না যে কোন উৎসব অনুষ্ঠান আয়োজনে। বাঙালির সেরা পছন্দ এই বাসন্তী পোলাও৷ এই পোলাও দারুণ জমে যায় নিরামিষ ছানার ডালনা বা কষা মাংস, যেকোনও কিছুর সঙ্গেই৷ এবার আপনাদের বাসন্তী পোলাও রেসিপির কথা বলবো । বাসন্তী পোলাও হলুদ হয় বলে এই পোলাওয়ের নাম হয়তো বাসন্তী পোলাও। এই পোলাও রান্না করা হয় সুগন্ধযুক্ত গোবিন্দভোগ, ঘি , কাজুবাদাম, কিসমিস ও চিনি দিয়ে ।
উপকরণ: (১৫ জনের মতো)
২ কেজি গোবিন্দভোগ চাল
৫০ গ্রাম নুন
৫ লিটার জল
১০ টি তেজপাতা
১৬ টি ছোট এলাচ
৬ টি চার ইঞ্চিমাপের দারচিনির টুকরো
১৬ টি লবঙ্গ
২৪ টি জয়িত্রী
৫০ গ্রাম হলুদগুঁড়ো
৩০০ মিলি তেল
৪০০ গ্রাম ঘি
২০০ গ্রাম কাজুবাদাম
১৫০ গ্রাম কিশমিশ
২০০ গ্রাম চিনি
প্রণালী : চালটা নিয়ে খুব ভালো করে ঠান্ডা জলে ধুতে হবে। ঘষবেন না, কেবল ধুয়ে রাখুন।একটা বড়ো প্লেট বা সার্ভিং ট্রের মধ্যে চালটা ছড়িয়ে দিন, ১৫-২০ মিনিটে চালটা শুকনো হয়ে যাবে। ২০ মিনিট পর শুকনো চালের সঙ্গে ঘি, হলুদ, আধ চাচামচ নুন, গরম মশলার গুঁড়োটা ভালো করে মিশিয়ে নিন আলতো হাতে।(চাল ভেঙে গেলে পোলাও ঝরঝরে হবে না তাই খুব সাবধানে কাজ করুন) ম্যারিনেট করা চালটা ঘণ্টাখানেকের জন্য রেখে দিন।এক ঘণ্টা পর একটা কড়ায় ২ টেবিলচামচ ঘি গরম করুন। গরম হয়ে গেলে কাজু আর কিশমিশ দিয়ে ভালো করে ভাজুন।সোনালি রং ধরলে কাজু-কিশমিশ ঘি থেকে ছেঁকে নামিয়ে নিন।ওই ঘিয়ের মধ্যেই তেজপাতা আর শুকনো গরমমশলা দিন ফোড়ন হিসেবে।ফোড়ন থেকে সুগন্ধ বেরোলে চালটা দিয়ে ভালো করে ভাজতে আরম্ভ করুন।৫ -১০ মিনিট ধরে ভাজুন।তার পর বাদাম, কিশমিশ, চিনি আর জলটা দিয়ে আঁচ কমিয়ে দিন।একেবারে এয়ারটাইট একটা ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে অন্তত ১৫ মিনিট।তার মধ্যেই জল শুকিয়ে ঝরঝরে পোলাও রান্না হয়ে যাওয়ার কথা। নামানোর আগে আরও এক টেবিলচামচ ঘি ছড়িয়ে নিয়ে নামান।যে কোনও আমিষ-নিরামিষ রান্নার সঙ্গে পারফেক্ট সঙ্গত করবে এই পোলাও।